কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ভিয়েতনামকে ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তহুরা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আঁখি।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় গোল দিয়ে দুজনেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে উচ্ছ্বাসের কথা জানান। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আনাই মোগিনির শট গোলরক্ষকের গ্লাভস গলে বেরিয়ে যাওয়ার পর শামসুন্নাহার জুনিয়র টোকা দিয়ে সামনে বাড়ান; শেষ মুহূর্তে গোললাইনের একটু ওপর থেকে নিঁচু হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তহুরা। এবারের বাছাই পর্বে চতুর্থ গোল করা এই ফরোয়ার্ড দলের জয়ে বেশি খুশি।
“আমরা জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। জিতেছি বলে খুবই খুশি। আসলে ওই হেড দেওয়ার সময় শুধু মনে হয়েছিল, আমাকে যেভাবেই হোক হেডটা ঠিকমতো দিতে হবে; গোলটা করতে হবে।”
৬৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। মারিয়া মান্ডার কর্নারে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেড পোস্টে লেগে ফেরার পর আখিঁর শটও গোলরকক্ষক ফেরান কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি; ফিরতি শটে আখিঁই ঠিকানা খুঁজে নেন। জটলার মধ্যে থেকে ঠাণ্ডা মাথায় এবারের আসরে প্রথম গোল পেয়ে খুশি এই ডিফেন্ডার।
“আগের ম্যাচগুলোয় গোল পাইনি। শেষ ম্যাচে এসে এবারের প্রতিযোগিতার প্রথম গোল পেলাম। অবশ্যই ভালো লাগছে। আমার গোলটাতে ম্যাচটা আমাদের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল; এজন্য আরও ভালো লাগছে।”
“ওই সময় আসলে ওভাবে কিছু ভাবিনি। প্রথম শট ফিরে আসার পর যখন বল ফের এল, তখন সেটা লক্ষ্যে রাখতে চেয়েছিলাম এবং সেটা পেরেছি বলে ভালো লাগছে।”