প্রত্যাশার চেয়েও বড় জয়ের আনন্দ বাংলাদেশের

ম্যাচের আগে লেবাননকে 'শক্ত প্রতিপক্ষ' হিসেবে দেখেছিল বাংলাদেশ। ধারণা করা হয়েছিল, তাদের বিপক্ষে গোল পাওয়া সহজ হবে না। লেবাননকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানালেন, প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছে তার দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 08:55 AM
Updated : 19 Sept 2018, 09:07 AM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে বড় জয়ে তহুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র জোড়া গোল করেন। বাকি দুই গোলদাতা আনাই মোগিনি, রোজিনা আক্তার।

এক ম্যাচ বেশি খেলা লেবাননের সঙ্গে সমান ৬ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ার মেয়েদের প্রশংসায় ভাসানো রব্বানী গোলের সুযোগ নষ্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার কথাও জানান।

"জয় দরকার ছিল। এখন আমরা জিতে শীর্ষে আছি। জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। গোল মিস হবে এবং এটা ম্যাচের অংশ। এটা এ মুহূর্তে বড় বিষয় নয়। তবে আমরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলব, যাতে পরের ম্যাচে গোলের সুযোগ আরও বেশি কাজে লাগাতে পারি।"

"এ ম্যাচে শুধু জয়ের আশা ছিল কিন্তু এটা (ব্যবধান বেশি হওয়া) আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এই গরমে মেয়েদের খেলতে হয়েছে। গরমে খেলা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু তারা সর্বোচ্চটুকু দিয়েছে।"

বাহরাইনকে ১০-০ গোলে হারানো ম্যাচে শেষ দিকে একটি গোল করেছিলেন তহুরা। লেবাননের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দারুণ খুশি এই ফরোয়ার্ড।

"গোল পেয়ে ভালো লাগছে। সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেছি। এই রোদের মধ্যে মাঠে এসে খেলা দেখায় এবং আমাদের উৎসাহ দেওয়ায় দর্শকদের ধন্যবাদ।"

তহুরার মতো দুই ম্যাচ মিলিয়ে তিন গোল করা সাজেদাও দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি।

"দল জিতেছে, আমি এতেই খুশি। হ্যাটট্রিক করার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আসলে হ্যাটট্রিক হতে ভাগ্যও লাগে।"

টানা দুই ম্যাচ জেতার পর লেবানন হারের স্বাদ পেল। দলটির কোচ হ্যাগোপ ডেমিরজিয়ান এখনই বাংলাদেশকে বাছাইয়ে 'চ্যাম্পিয়ন' দেখছেন।

"আমাদের জন্য এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। তাদেরকে অভিনন্দন। গতি, দক্ষতা-সব দিক থেকে তারা এগিয়ে ছিল। আমার মনে হয়, বাছাইয়ে তারা সেরা হবে।"

“গরম পার্থক্য গড়ে দেয়নি। গরম আমাদের ওপর পড়েছে, তাদের উপরও পড়েছে। আসলে বাংলাদেশ দলে শুধু একজন নয়, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার মতো অনেক খেলোয়াড় আছে এবং এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”