অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে লিভারপুল।
ড্যানিয়েল স্টারিজ ও জেমস মিলনারের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। প্রথমার্ধে তমা মুনিয়ের গোলে ব্যবধ্স কমায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ধারার বিপরীতে কিলিয়ান এমবাপের গোলে ফেরায় সমতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পার্থক্য গড়ে দেন ফিরমিনো।
ক্লাব ফুটবলের অন্যতম দুই সেরা আক্রমণভাগের লড়াইয়ের আগমুহূর্তটা লিভারপুল সমর্থকদের জন্য ছিল কিছুটা হতাশানজক। গত শনিবার লিগ ম্যাচে চোখে আঘাত পেয়ে শঙ্কায় থাকা ফিরমিনোকে ছাড়াই একাদশ সাজান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
তবে তাতে দলটির আক্রমণাত্মক খেলায় ছেদ পড়েনি। সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা; কিন্তু ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ভন ডাইকের ভলি দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা।
৩৬তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার মিলনার। ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডামকে পিএসজির ডিফেন্ডার হুয়ান বের্নাত অহেতুক ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় লিভারপুল।
৪০তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান মুনিয়ে। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে উড়ে আসা বল রবার্টসনের গায়ে লেগে অরক্ষিত বেলজিয়ান ডিফেন্ডার মুনিয়ের পায়ে গিয়ে পড়ে। জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
৭৪তম মিনিটে স্টারিজকে বসিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনোকে নামান কোচ।
৮২তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে আরিওলার দুপায়ের ফাঁক দিয়ে সাদিও মানের শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। ওখান থেকে পাল্টা আক্রমণে খেলার ধারার বিপরীতে সমতায় ফেরে অতিথিরা।
৮৩তম মিনিটে সালাহর ভুলে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যাওয়া নেইমারকে চ্যালেঞ্জ জানায় এক ডিফেন্ডার। ডি-বক্সে বল পেয়ে যান এমবাপে। ডান পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষকেক পরাস্ত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে সার্বিয়ার রেড স্টার বেলগ্রেডের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে ইতালির নাপোলি।
এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
‘ডি’ গ্রুপে ঘরের মাঠে রাশিয়ার লোকোমোতিভ মস্কোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তুরস্কের গালাতাসারাই। অন্য ম্যাচে জার্মানির শালকের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে পর্তুগালের পোর্তো।