বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারায় ভারত। দলের জয়ে মানভির দুটি ও সুমিত পাস্সি একটি করে গোল করেন।
মুকুট ধরে রাখার লড়াইয়ে আগামী শনিবার ভারত মুখোমুখি হবে প্রথম সেমি-ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারানো মালদ্বীপের।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের শুরুর দিকে আক্রমণে এগিয়ে ছিল সাফের সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। তবে পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইউসুফ ইজাজ বাট ছিলেন দেয়াল হয়ে। একাদশ মিনিটে ভিনিত রায়ের জোরালো শট ফেরান বাট।
১৯তম মিনিটে ফারুক হাজীর কাটব্যাকে মানভিরের শট ফেরানোর একটু পর বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আশিক কুরুনিয়ানের শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে আবারও দলের ত্রাতা বাট।
৩৬তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো ব্যাক পাস বিশাল কাইথ ধরলে ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক পায় পাকিস্তান। তবে ফ্রি কিক থেকে সুফল পায়নি দলটি। একটু পর মোহাম্মদ রিয়াজের শট ফিরিয়ে ভারতকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ভারত। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আশিকের বাড়ানো বল নিখুঁত প্লেসিং শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে পৌঁছে দেন মানভির।
৬৯তম মিনিটে ব্যধবান দ্বিগুণ করে নেয় ভারত। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা লাল্লিয়ানজুয়ালা চাঙতে বল বাড়ান বিনিতকে। এরপর বিনিতের বাড়ানো বল ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষে পৌঁছে দেন মানভির।
৮৪তম পাকিস্তানের কফিনে তৃতীয় পেরেকটি ঠুকে দেন সুমিত পাস্সি। বাঁ দিক থেকে আশিকুরের বাড়ানো ক্রস হেড করে জালে জড়িয়ে দেন ৮২তম মিনিটে বদলি নামা এই ফরোয়ার্ড।
একটু পর বল নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে বশির ফাউল করেন লাল্লিয়ানজুয়ালাকে। তিনি আবার থাবা মারেন বশিরকে। দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে মহসিন আলি গিয়ে ধাক্কা দেন লাল্লিয়ানজুয়ালাকে। রেফারি মহসিন ও লাল্লিয়ানজুয়ালাকে লালকার্ড দেখান।
৮৭তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন বশির।
এ নিয়ে ১১ বার সাফের ফাইনালে উঠল ভারত। প্রথমবারের মতো শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে ওঠা হলো না পাকিস্তানের।