দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে রোববার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে ইওয়াখিম লুভের শিষ্যরা। লুইস আনভিনকুলার গোলে এগিয়ে যায় পেরু। ইউলিয়ান ব্রান্ডট সমতা ফেরানোর পর জয়সূচক গোলটি করেন অভিষিক্ত নিকো শুলজ।
হফেনহাইমের মাঠে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় জার্মানি। একা পেয়েও পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসেকে ফাঁকি দিতে পারেননি মার্কো রয়েস।
চতুর্দশ মিনিটে আবার সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। টনি ক্রুসের দারুণ কর্নারে অরক্ষিত মাথিয়াস গিন্টারের হেড ছয় গজ দূর থেকে লক্ষ্যে থাকেনি।
নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় পেরু। শুলজের হারানো বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন আনভিনকুলা।
এই ডিফেন্ডারের দেশের হয়ে এটাই প্রথম গোল। খুব কাছে থেকেও বলের জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি জার্মানির গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে পেরুর সামনে। ৪৮তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান রাউল রুইদিয়াস। কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন খানিক আগে মাঠে আসা জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার।
৫৪তম মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ একটি হেড কোনো রকমে রক্ষা করেন টের স্টেগেন। ফিরতি বলে সুযোগ আসে জেফারসন ফারফানের সামনে। খুব কাছে থেকেও লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনি।
পরের মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করেন টিমো ভের্নার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্রান্ডটের বাড়ানো বল ওপর দিয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড।
৫৮তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ফারফান। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠা ম্যাচে ৮৪তম মিনিটে জার্মানিকে এগিয়ে নেন শুলজ। তার জোরালো শট পেরুর একজনের গায়ে লেগে, ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ায়। এই গোলই জার্মানিকে এনে দেয় স্বস্তির জয়।