ফাইনালে সহজেই ৬-২, ৬-৪ গেমে জেতেন ২০ বছর বয়সী ওসাকা।
কোর্টের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলেও ফাইনালে উত্তাপ ছড়িয়েছে চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস রামোসের সঙ্গে সেরেনার বাহাস।
দ্বিতীয় সেট চলাকালে সেরেনার কোচ গ্যালারি থেকে শিষ্যকে ইশারায় কোনো নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ডব্লিউটিএ ট্যুরে এমন সুযোগ থাকলেও গ্র্যান্ড স্ল্যামে কোচদের এভাবে খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেওয়ার নিয়ম নেই। এজন্য মার্কিন তারকাকে সতর্ক করেন রামোস। এতেই ঘটনার শুরু। নিয়ম বহির্ভূত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগকে নিজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে রামোসের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সেরেনা।
দ্বিতীয় সেটে ৩-২ এ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় হতাশায় কোর্টেই নিজের র্যাকেট ভেঙ্গে ফেলেন ৩৬ বছর বয়সী সেরেনা। এতে তাকে পয়েন্ট পেনাল্টি করেন রামোস। ১৫-০তে এগিয়ে থেকে পরের গেম শুরু করেন ওসাকা।
তবে বিষয়টি থেকে সরে যাননি সেরেনা। মেজাজ হারানো এই তারকা রামোসকে চোর বলে উল্লেখ করে বলেন, “আপনি একজন মিথ্যাবাদী। আপনি যতদিন বাঁচবেন আর কোনোদিন আমার কোর্টে থাকবেন না। কখন আপনি ক্ষমা চাইবেন? বলেন যে আপনি দুঃখিত।”
এই কাণ্ডে সেরেনাকে একটি গেম পয়েন্ট পেনাল্টি করেন রামোস। ৪-৩ গেমে এগিয়ে থাকা ওসাকা এগিয়ে যায় ৫-৩ গেমে।
ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার অভিযোগ আনেন সেরেনা।