শহীদুলের পাশে হতাশ জেমি

শক্ত ভিতের উপর থেকে দলের বিদায়টা হলো যার হাস্যকর ভুলে, সেই গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেমি ডে। তবে নেপালের কাছে হেরে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা আড়াল করেননি বাংলাদেশ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2018, 03:51 PM
Updated : 8 Sept 2018, 03:51 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। ৬ করে পয়েন্ট তিন দলের; গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নেপাল গ্রুপ সেরা ও পাকিস্তান গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সেরা চারে ওঠার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের।

ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সাফ শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল ১-০ গোলে।

৩৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে বিমল ঘারতি মাগারের নেওয়া ফ্রি কিক ৩৫ গজ পেরিয়ে সোজা গোলরক্ষক শহীদুলের দিকেই এসেছিল; কিন্তু সহজে যে বল গ্লাভসবন্দি করার কথা, সেটা তার হাত গলে ঠিকানা খুঁজে নেয়। যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নবযুগ শ্রেষ্ঠা। ম্যাচ শেষে গোলরক্ষকের পাশে দাঁড়ান জেমি।

“সেমিতে উঠতে না পেরে আমি হতাশ। ম্যাচে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। ছেলেরা ভালো করেছে। আমাদের দূর্ভাগ্য যে, আমরা দুই ম্যাচ জিতে সেমি-ফাইনালে যেতে পারিনি। অন্যদিকে, একটি (বি গ্রুপ) দল এক ম্যাচ খেলে সেমিতে চলে গেছে। ৫ দিনে আমাদেরকে তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে।”

“হ্যাঁ এটা সাধারণ একটা ক্যাচ ছিল। শহীদুল এটা ধরতে পারত, ধরা উচিত ছিল কিন্তু এটাই ফুটবল। এখানে এ ধরণের বিষয় হতে পারে। ওই ঘটনার প্রভাব ম্যাচে থাকতেও পারে।”

তিন ম্যাচে বাংলাদেশ মোট ৩ গোল করেছে। দুটি ডিফেন্ডার তপু বর্মণের। একটি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিলের। নেপালের বিপক্ষে সুফিল কাঙ্ক্ষিত গোল পাননি। সাদউদ্দিন ও শাখাওয়াত হোসেন রনিও খুলতে পারেননি গোলের খাতা। কোচ অবশ্য ফরোয়ার্ডদেরও সমালোচনা করেননি।

“আমরা যে দুইটা ম্যাচ জিতেছি, এটা নিয়ে আপনারা বলছেন না। সবাই শুধু নেতিবাচক কথা বলছেন। সুফিল যে চেষ্টা করেছে সেটা নিয়ে আপনারা বলছেন না।”

এদিকে শঙ্কা কাটিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ খুশি নেপালের সহাকারী কোচ কিরণ শ্রেষ্ঠা।

“আমাদের বাঁচা-মরার ম্যাচ ছিল। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে সফল হয়েছি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলা কঠিন ছিল; কিন্তু আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী সফল হয়েছি।”