বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ওঠার প্লে-অফে ভুটানের কাছে ৩-১ গোলে হারের প্রতিশোধও নিল দল।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে শ্রীলঙ্কাকে ৪-২ গোলে হারানোর পর এই প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
কিক অফের পর প্রথম আক্রমণেই কর্ণার পায় বাংলাদেশ। ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় সাদউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তৃতীয় মিনিটে তপুর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। মাশুক মিয়া জনির বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সুফিল ঠিকঠাক চিপ করতে পারেননি। বল গোলরক্ষকের গায়ে লাগে। অষ্টাদশ মিনিটে মিনা ওয়াংদির হেড জমে যায় শহীদুল আলম সোহেলের গ্লাভসে।
২৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশার ভুলে ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন চেনচো গাইয়েলতসেন। ভুটানের এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর বিপলু আহমেদের প্রচেষ্টাও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
বাঁ দিক দিয়ে সুফিল বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন। তার থেকে পাওয়া বলে বিপলুর শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। একটু পর কর্নারে আতিকুর রহমান ফাহাদের হেড ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফরোয়ার্ড চেনচোকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার চিমি দর্জিকে নামান ভুটান কোচ ট্রেভর মরগ্যান।
১০ মিনিট পর জামাল ভুইয়ার শট হেডে ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়াতে বসেছিলেন ভুটানের এক খেলোয়াড়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে যাত্রায় কোনো বিপদ হয়নি। বাকিটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জেমি ডের দল।
উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শুভসূচনা করে পাকিস্তান।