সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রশ্নে মুখে ছিপি কোচদের!

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। শিরোপাধারী হিসেবে এবারও অন্যতম ফেভারিট তারা। দলটির কোচ স্টিভেন কন্সট্যানটিন ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে সংবাদ সম্মেলনেই আসতে পারলেন না! বাকি ছয় কোচ এসেছিলেন; কিন্তু কেউই মুখ ফুটে বললেন না-চ্যাম্পিয়ন হতে চাই!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2018, 03:51 PM
Updated : 3 Sept 2018, 06:40 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার বেলা ৪টায় নেপাল-পাকিস্তানের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে প্রতিযোগিতার দ্বাদশ আসরের। সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাত দলকে নিয়ে সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কন্সট্যানটিন না আসায় ভারতের লক্ষ্য জানা সম্ভব হয়নি। বাকি ছয় কোচ আপাতত গ্রুপ পর্ব পেরুনো বা সেমি-ফাইনাল নিয়েই ভাবছেন।

সাফের ১৯৯৫ সালের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। এবার দলটি সাফ মিশন শুরু করবে নিজাম পাকির আলির অধীনে। লম্বা সময়ে ধরে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলে যাওয়া পাকিরের এ দেশের ফুটবল সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে। সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তার দল। কিন্তু সাফ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখার বদলে মাঠের লড়াই নিয়ে ভাবনা তার।

“শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানো আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। আমাদের দলটা ভালো। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে লিথুনিয়াকে হারিয়েছিলাম। জাপানে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের গ্রুপে ভারত ও মালদ্বীপ শক্তিশালী দল। তবে মাঠেই বোঝা যাবে কারা এগিয়ে।”

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছে পাকিস্তান। দলটির ব্রাজিলিয়ান কোচ জোসে আন্তোনিও নোগেইরার প্রাথমিক লক্ষ্য সেমি-ফাইনাল।

“তিন বছর পর জাতীয় দল প্রথম খেলা শুরু করেছে (এখানে খেলবে)। আসলে এই দলটা অনেক দিন খেলার মধ্যে ছিল না নানান কারণে। এখন আমরা দল গঠন করছি কাতার বিশ্বকাপ বাছাই সামনে রেখে। সাফে আমাদের আপাতত লক্ষ্য সেমি-ফাইনাল।“

“এই গ্রুপ থেকে সেমিতে ওঠা কঠিন। তারপরও আমরা চাই, সেমি-ফাইনালে খেলতে। এশিয়ান গেমসে খেলা ১০ জন আছে এই দলে। সাম্প্রতিক সাফল্য বলতে আমরা গত এশিয়ান গেমসে নেপালকে হারিয়েছিলাম।”

তিন আসরে সেমি-ফাইনাল খেলা নেপালের সেরা সাফল্য। এবারও বড় স্বপ্ন নিয়ে শুরু করতে চান না দলটির কোচ বালগোপাল মহারাজন; গ্রুপ পর্ব পেরুনো মূল ভাবনা তার।

“আমরা বঙ্গবন্ধু কাপ এ মাঠেই জিতেছি। তবে এই টুর্নামেন্টের আগে আমরা তিন মাস অনুশীলন করেছি। এটা পুরোপুরি নতুন দল। গ্রুপ পেরুনোই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।”

২০০৮ সালে প্রথম এবং এ পর্যন্ত সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালদ্বীপ। তিন আসরের রানার্সআপ তারা। তবে সাফে সর্বোচ্চ ২০ গোল করা তারকা ফরোয়ার্ড আলি আশফাককে ছাড়াই এবার এসেছে তারা। দলটির ক্রোয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মান কোচ পেতার সেগারের দাবি, তার দল সমীহ পাওয়ার যোগ্য।

“আমরা তরুণ দল নিয়ে এসেছি। এটা মালদ্বীপের ফুটবলের নতুন প্রজন্ম। আলি আশফাক দলে নাই। সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়; কিন্তু বাকি যারা আসছে তাদেরকেও সম্মান জানাতে হবে। তারা এখানে ভালো একটা টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছে। এই দলটাই মালদ্বীপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ। মাঠের লড়াইয়ের আগে সাত দলই ফেভারিট। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরাটা দেওয়ার।”

বাংলাদেশ কোচ জেমি ডেও ভুটান ম্যাচ সামনে রেখে জানান গ্রুপ পেরুনো প্রথম লক্ষ্য তার। ভুটান কোচ ট্রেভর মরগ্যানের মনে হচ্ছে গ্রুপ পর্বে ৪ পয়েন্ট পেয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠাই হবে তার দলের জন্য দারুণ সাফল্য।