পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি ছাড়াও সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের কোনো সদস্যের।
জুলাইয়ে ইউভেন্তুসে পাড়ি জমানো রোনালদো ও মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদদের হয়ে গত মৌসুম দারুণ কাটান। ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে মাদ্রিদের ক্লাবটির টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল দুজনের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়া ক্লাবটির হয়ে গত মৌসুমে উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেন তারা।
দারুণ পথচলায় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ইতিহাসও গড়েন রোনালদো। ইউরোপ সেরার মঞ্চে টানা ষষ্ঠবারের মতো সেরা গোলদাতা হন ৩৩ বছর বয়সী তারকা। গড়েন প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে টানা ১১ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড। মোট ১৩ ম্যাচ খেলে করেন ১৫ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করান তিনটি। আর ঘরোয়া লিগে ২৭ ম্যাচে করেন ২৬ গোল।
রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে করেন অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেটা সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।
রাশিয়ায় মদ্রিচের পথচলা তুলনামূলক ছিল আলো ঝলমলে। বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলতে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান। জিতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।
গতবছরের জুলাইয়ে রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়া সালাহর অ্যানফিল্ডের অভিষেক মৌসুমটা ছিল এককথায় অসাধারণ। সব প্রতিযোগিতায় মিলে করেন ৪৪ গোল। দলকে তোলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। তবে রিয়ালের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ের শুরুতেই চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন তিনি, দলও পারেনি ইউরোপ সেরা হতে।
উয়েফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ছিলেন এই তিন জন। গত সপ্তাহে রোনালদো ও মদ্রিচকে হারিয়ে পুরস্কারটি জিতে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মদ্রিচ।
বর্ষসেরা ফুটবলার নির্ধারণে সমান ২৫ শতাংশ করে অবদান রাখেন ফুটবল বিশ্বের সব জাতীয় দলের অধিনায়ক, কোচ, বিশ্বজুড়ে ফিফা নির্বাচিত সাংবাদিক ও অনলাইনে ফুটবলপ্রেমীরা।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
শেষ ১০ বারের বিজয়ীরা:
ফিফা বর্ষসেরা
২০০৮ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০০৯ লিওনেল মেসি
একীভূত ফিফা ব্যালন ডি’অর
২০১০ লিওনেল মেসি
২০১১ লিওনেল মেসি
২০১২ লিওনেল মেসি
২০১৩ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০১৪ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০১৫ লিওনেল মেসি
দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার
২০১৬ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
২০১৭ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো