ভুটানের বিপক্ষে নির্ভার বাংলাদেশ

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ভুটানের ওপর বাংলাদেশের ছড়ি ঘোরানোর চিত্র। কিন্তু দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচের স্মৃতি বাংলাদেশের জন্য যে ভীষণ হতাশার। তবে অতীতের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে ভাবছেন না জেমি ডে। নতুন টুর্নামেন্ট বলেই নতুন শুরুর দিন গুনছেন স্বাগতিক কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2018, 01:39 PM
Updated : 3 Sept 2018, 06:40 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে নেপাল ও পাকিস্তান, শুরু হবে বেলা ৪টায়।

এ পর্যন্ত সাফে মোট ৫বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভুটান। বাংলাদেশের জয় ৪টি, অন্যটি ড্র। কিন্তু দুই দলের শেষ দুই দেখায় শেষ হাসি ভুটানের। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ওঠার প্লে-অফে ভুটানের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল মামুনুলরা।

২০০৩ সালে প্রথম সাফ জেতা বাংলাদেশ পরেরবার হয়েছিল রানার্সআপ। কিন্তু এরপর সঙ্গী হয়েছে কেবল হতাশা। গত তিন আসরে গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ।

কোচ ডে অতীত নিয়ে ভাবছেন না। ১৫ সপ্তাহ ধরে গড়ে তোলা দলটি নির্ভার খেলবে বলে বিশ্বাসের কথা আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন তিনি। প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে জানালেন গ্রুপ পর্ব পেরুনোর কথা।

“আমার প্রথম লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পেরুনো। এর বাইরে আপাতত কিছু ভাবছি না। আমার ওপর কোপ চাপ নেই। খেলোয়াড়দের ওপরও চাপ নেই।

ভুটানের সেই ম্যাচ নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু ওই ম্যাচে আমি বাংলাদেশের কোচ ছিলাম না। এই দলেও ওই ম্যাচে খেলা অনেকে নেই। এখানে তাই প্রতিশোধের কিছু নেই। আমরা স্রেফ একটা ম্যাচ খেলব।”

সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ১-০ গোলের হারে দলের সামর্থ্য নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ডে অবশ্য হারা ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছুর খোঁজে থাকছেন।

“শ্রীলঙ্কার কাছে হার….ওটা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। হার ছাড়াও সেখানে অনেক ইতিবাচক বিষয় ছিল। আমরা ওই ম্যাচে আধিপত্য করেছিলাম এবং অনেক সুযোগও তৈরি করেছিলাম; কিন্তু গোল করতে পারিনি।”

এশিয়ান গেমসে খেলা ১১ জনের সঙ্গে নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম, অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি এবং ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল, নাসিরউদ্দিন চৌধূরীসহ আরও ৯জনকে নিয়ে দল গড়েছেন ডে। সংবাদ সম্মেলনে কোচের পাশে বসে নাসিরউদ্দিন ভুটান ম্যাচের লক্ষ্য নিয়ে উত্তর দিলেন অল্প কথাতেই।

“আমাদের গোল করতে হবে। তিন পয়েন্ট পেতে হবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।”

সাফে ভুটানের পরিসংখ্যান আলো ঝলমলে নয়। ২০০৮ সালের সেমি-ফাইনালে ওঠাই তাদের অতীতের সেরা সাফল্য। দলটির বৃটিশ কোচ ট্রেভর মরগ্যান স্বাগতিক বাংলাদেশকে সমীহ করলেও ভালো ম্যাচের প্রতিশ্রুতি দিলেন।

“আমাদের দলটা তরুণ। এদের অনেক শেখার আছে। আশা করি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা ভালো হবে। নিজেদের মাঠ এবং দর্শকের সামনে খেলার কারণে বাংলাদেশ ফেভারিট। ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হবে।”

“দুই দলের আগের ম্যাচটা তিন বছর আগে খেলা হয়েছে। মাঝের সময়টাতে দুই দল অনেক বদলেছে। এটা নতুন টুর্নামেন্ট।”