২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নদের কাছে থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন কোচ

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত সর্বশেষ শিরোপা জেতে সেই ২০০৩ সালে। নিজেদের মাঠে আরেকটি সাফ সামনে রেখে তাই জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে বাড়তি অনুপ্রেরণা খুঁজছেন অতীত সাফল্যের মধ্যে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2018, 02:41 PM
Updated : 31 August 2018, 02:41 PM

বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ) ও বসুন্ধরা কিংসের আয়োজনে শুক্রবার সংবর্ধনা দেওয়া হয় ২০০৩ সালের সাফ জয়ী খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তাদের। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বর্তমান দলের কোচ ও খেলোয়াড়রাও। সেখানেই অতীত থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার কথা বলেন ডে।

“এখানে যারা ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের আছেন, তারা চমৎকার কিছু অর্জন করেছেন এবং আশা করি তারা আসন্ন টুর্নামেন্টে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবেন। আমাদের দলটিকে তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করতে হবে।

“আমি এখন পর্যন্ত ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি। প্রথমবারের মতো তারা এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় পর্বে উঠেছে। প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব পেরুনো চমৎকার অর্জন। আসলে এই ছেলেরা গত ১৫টি সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছে।”

২০০৩ সালে প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। এবার দ্বাদশ আসরও হচ্ছে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। চেনা মাঠে, চেনা দর্শকের সামনে দল সেরাটা ঢেলে দেবে বলে আশাবাদী কোচ।

“আপনারা জানেন পরিবর্তন সহজ বিষয় নয়। কিন্তু এই ছেলেরা অনেক বদলেছে। অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এখন দেশের মানুষকে দেখাতে হবে, এই ছেলেরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করতে এবং সেরাটা দিতে প্রস্তুত।”

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ‘এ’ গ্রুপের বাকি দুই দল নেপাল ও পাকিস্তান।

২০০৫ সালের আসরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। গত তিনটি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার হতাশায় ডুবতে হয়েছে দলকে। তবে এবার উত্তরসূরিদের নিয়ে আশাবাদী ২০০৩ সাফ জয়ী অধিনায়ক রজনী কান্ত বর্মন।

“আমি এই দল নিয়ে আশাবাদী। আশা করি ১৫ বছর পর তাদের হাত দিয়ে ট্রফি আসবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে দলের খেলার মধ্যে গা ছাড়া ভাব ছিল। তবে ফুটবল ব্যক্তিগত খেলা নয়, দলীয় খেলা, সাফ জিততে হলে সবাইকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।”