ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে বাংলাদেশের কাছে হারে নেপাল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এক গোল খাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে দলটি। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শক্তি-সামর্থ্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন গুরুং।
“বাংলাদেশ দলের খুব ভালো দক্ষতা আছে। ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিক্যালি তারা খুবই শক্তিশালী এবং গতিময়। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের মেয়েরা মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেনি। তাই দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পুরোপুরি হার মানতে হয়েছে।”
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তহুরা খাতুনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর মারিয়া মান্ডা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দলের তৃতীয় গোলটি সাজেদা খাতুনের। শিষ্যদের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় বেশি খুশি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
“দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের মেয়েরা পুরোপুরি মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল। যেভাবে আমাদের মেয়েরা জিতেছে, আমি খুশি।”
দলের জয়ে খুশি হলেও প্রথমার্ধে নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো নিয়ে হতাশ তহুরা।
“আমরা প্রথমার্ধে অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। তা না হলে আমরা শুরুর দিকেই গোল পেতে পারতাম। দলের জন্য আবারও গোল করতে পেরে এবং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমি খুশি।”
ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া ভুটানের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।