আগামী ১৮ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা-পালেমবাংয়ে শুরু হবে এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসর। এবার ফুটবল, কাবাডি, হকি, শুটিং, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, ভারোত্তোলন, রেসলিং, বাস্কেটবল, ব্রিজ, গলফ, বিচ ভলিবল, রোয়িং ও আর্চারি-এই ১৪ ডিসিপ্লিনে ৮৬জন পুরুষ ও ৩১ জন নারীসহ ১১৭ জন অ্যাথলেট অংশ নেবেন।
ইনচনে গত এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে মেয়েরা রৌপ্য এবং ছেলেরা ব্রোঞ্জ জিতেছিল। অপর ব্রোঞ্জ পদকটি এসেছিল মেয়েদের কাবাডি থেকে।
এশিয়ান গেমসে এ পর্যন্ত একটি সোনা, পাঁচটি রুপা ও ছয়টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ১২টি পদক জিতেছে বাংলাদেশ। একমাত্র সোনাটি ২০১০ সালের গুয়াঞ্জুর আসরে ছেলেদের ক্রিকেট থেকে পাওয়া। সবচেয়ে বেশি পদক এসেছে কাবাডি থেকে; ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে ৭টি (তিনটি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জ)।
এবারও তাই কাবাডি থেকে পদক পাওয়ার প্রত্যাশা থাকছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে শুটিং ও ভারোত্তোলন ও ও আর্চারি থেকে কিছু পাওয়ার আশা। গোল্ড কোস্টে গত কমনওয়েলথ গেমসে ৫০ মিটার এয়ার রাইফেলে রৌপ্য জেতা শুটার শাকিল আহমেদ এবং গত এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জেতা মাবিয়া থাকায় আশাটা আরও বেশি।
নিজেদের মাঠে গত মে মাসে হওয়া আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে আলো ছিড়িয়েছিলেন রোকসানা-অসীম-রোমানরা। ৫টি সোনা, ৫টি রূপা ও একটা ব্রোঞ্জসহ মোট ১১টি পদক নিয়ে সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে সংবাদ সম্মেলনে বিওএ-এর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা পদকের আশা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। এশিয়ার বাকি প্রতিযোগীদের সঙ্গে ব্যবধানটা মেনে নিয়ে ‘ভালো কিছু’ চাওয়ার কথা জানান তিনি।
“কাবাডি, শুটিং, আর্চারিকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা। এই ইভেন্টগুলোতে আমরা ভালো করতে চাই। তবে ভালোর মানে আপনারাও বোঝেন; আমরাও বুঝি। জানুয়ারি থেকে এই ইভেন্টের খেলোয়াড়রা অনুশীলন করায় তাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। তাই ইভেন্টগুলোতে তারা ভালো পারফরম করবে বলে আশা করি আমরা।”