সামার অ্যাথলেটিক্সে ২০০ মিটারে সেরা জহির-সোহাগী

জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সের ছেলেদের ২০০ মিটারে লড়াই হলো একপেশে। সহজেই প্রথম হলেন জহির রায়হান। তবে দারুণ জমেছিল শিরিন আক্তার ও সোহাগী আক্তারের লড়াই। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুই সতীর্থের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সেরা হয়েছেন সোহাগী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2018, 02:36 PM
Updated : 28 July 2018, 06:04 PM

১৫টি স্বর্ণ, ১৫টি রৌপ্য এবং ১২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪২টি পদক নিয়ে দলগতভাবে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ১৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪২ টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সামার অ্যাথলেটিক্সের চতুর্দশ আসরে সেরা অ্যাথলেট হয়েছেন সুমী আক্তার। ৪০০, ৮০০, ১৫০০ এবং ৩০০০ মিটারে সেরা হয়েছেন সেনাবাহিনীর এই অ্যাথলেট।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে শনিবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ছেলেদের ২০০ মিটারে ২১ দশমিক ৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন জহির। দ্বিতীয় হওয়া সেনাবাহিনীর শরীফুল ইসলাম দৌড় শেষ করেন ২২ দশমিক ২০ সেকেন্ডে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণে চার মাস ধরে বাইরে থাকার পর ট্র্যাকে ফিরে জেতায় দারুণ খুশি জহির। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) এই অ্যাথলেট আগামী মার্চের এসএ গেমসে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

“৪০০ মিটারে পর ২০০ মিটারেও সেরা হলাম। দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ছিলাম বলে দুর্ভাবনা ছিল না পারবো কি-না। কোচ সাহায্য করছেন। তবে আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো করতে পারবো। অনুশীলনও ভালো হয়েছিল। হাল ছাড়িনি। আজকে লক্ষ্য ছিল ২০০ মিটারে ভালো দৌড় দিব।”

“৪০০ ও ২০০ মিটার আমার প্রিয়। তবে ৪০০ মিটার বেশি পছন্দ। মার্চে এসএ গেমসে ভালো করা সম্ভব। যদি পর্যাপ্ত অনুশীলন ও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে ভালো ফল হবে। সব সুবিধা পেলে পদক আনতে পারব।”

৪০০ এবং ১০০ মিটারে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও ২০০ মিটারে সেরা হতে পেরে খুশি সোহাগী। শিরিনকে (২৫ দশমিক ২০ সেকেন্ড) পেছনে ফেলে ২৫ দশমিক ১০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করা নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেটও জানালেন এসএ গেমসে ভালো করার আশাবাদ। গত সামার অ্যাথলেটিক্সেও ২৫ দশমিক ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়েছিলেন সোহাগী।

“শুরুর দিকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও পরে একটু গতি কমে যাওয়ার কারণ ক্লান্তি হতে পারে। গতকাল ৪০০ ও ১০০ মিটারে দৌড়েছিলাম। ১০০ মিটারে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। তবে ২০০ মিটারে টাইমিং আরেকটু ভালো হলে ভালো হতো।”

“এসএ গেমসে ভালো করার চেষ্টা করবো। যারা আছে তাদের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হবে। ওখানে ভালো টাইমিং করতে চাই। স্বর্ণ জিততে পারবো কিনা জানি না কিন্তু ভালো টাইমিং করতে চাই।”

ছেলেদের পোল ভল্টে সেনাবহিনীর রাকিব প্রধান (৩ দশমিক ৯০ মিটার), মেয়েদের ৩০০০ মিটারে একই দলের সুমী (১১ দশমিক ৪০ মিনিট), মেয়েদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সেনাবাহিনীর পাপিয়া আক্তার (৩৮ দশমিক ৮৫ মিটার), ছেলেদের শটপুটে নৌবাহিনীর এম ইব্রাহিম (১৪ দশমিক ২১ মিটার), ৫০০০ মিটারে বিজেএমসির মোহাম্মদ ইলাহী (১৭ মিনিট ৫১ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড) সেরা হয়েছেন।

ছেলেদের ১০০ মিটার রিলেতে মেজবাহ-রউফ-শাহ ইমরান-এম ইসমাইল ৪১ দশমিক ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নৌবাহিনীকে সোনা এনে দেন। মেয়েদের ১০০ মিটার রিলেতেও সেরা হয়েছে নৌবাহিনী। ৪৮ দশমিক ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন শিরিন-সোহাগী-তামান্না-আইরিন।

মেয়েদের ৮০০ মিটারে সেনাবাহিনীর সুমী আক্তার (২ মিনিট ৩১ দশমিক ৪০ সেকেন্ড), ছেলেদের ৮০০ মিটারে নৌবাহিনীর রকিবুল হাসান বাকী (১ মিনিট ৫৫ দশমিক ১০ সেকেন্ড) প্রথম হয়েছেন।

ছেলেদের ম্যারাথনে সেনাবাহিনীর মো. নুরুজ্জামান (২ ঘণ্টা ৫০ দশমিক ১০ মিনিট), ১৫০০ মিটারে নৌবাহিনীর রাকিবুল ইসলাম (৪ মিনিট ১১ দশমিক ৪০ সেকেন্ড), মেয়েদের ১৫০০ মিটারে সেনাবাহিনীর সুমী আক্তার (৫ ঘণ্টা ১৯ দশমিক ৭০ মিনিট) সেরা হয়েছেন।

ছেলেদের ট্রিপল জাম্পে সেনাবাহিনীর আল আমিন (১৪ দশমিক ৫২ মিটার),  মেয়েদের শটপুটে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির শ্রাবণী মল্লিক (১১ দশমিক ৫৮ মিটার), ছেলেদের হাইজাম্পে নৌবাহিনীর মাহফুজুর রহমান (২ দশমিক ০৭ মিটার) প্রথম হন।

মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলসে নৌবাহিনীর তামান্না আক্তার (১৫ দশমিক ৩০ সেকেন্ড), ৪০০ মিটারে সেনাবাহিনীর সুমী আক্তার (৫৭ দশমিক ৯০ সেকেন্ড), ছেলেদের ৪০০ মিটারে বিকেএসপির জহির (৪৮ দশমিক ১০ সেকেন্ড), ১১০ মিটার হার্ডলসে সেনাবাহিনীর মির্জা হাসান (১৪ দশমিক ৯০ সেকেন্ড) সেরা হন।