আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত কোরিয়া থাকবে বাংলাদেশ। আগামী বুধবার গুয়ানজু ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রথম এবং শুক্রবার সিয়েনহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। ৬ অগাস্টের তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ এখনও ঠিক হয়নি।
১১ অগাস্ট ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাবে দল। ১৪ অগাস্ট উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করবেন সাদ-জাফররা। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড ও কাতার।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের বলার মতো কোনো প্রাপ্তি নেই। গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। তবে ডের লক্ষ্য এবারের এশিয়ান গেমস স্মরণীয় করে রাখা।
“গত ৬ সপ্তাহ খেলোয়াড়রা পরিশ্রম করেছে, সত্যিকারভাবে তারা চেষ্টা করেছে নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতি করতে। কিন্তু ম্যাচের পরীক্ষাটা আলাদা। প্রত্যেক ম্যাচে সবাইকে সেরা অবস্থায় দেখা যায় না। দেখা যায়, ৪ বা ৫ জনের খারাপ দিন যায়। সেটা হলে আমাদের জন্য বিপদ। ভালো করতে হলে এগারো জনকেই সেরাটা দিতে হবে। কারণ গ্রুপের তিনটা দলই খুব কঠিন, তাদের বিপক্ষে পুরো দল জ্বলে না উঠলে ভাল করা সম্ভব নয়।”
গত লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সাদউদ্দিন উইংয়ে খেলেছেন। তরুণ এই খেলোয়াড়ের কাছে ভালো কিছু পাওয়ার আশা কোচের। তবে ছয় সপ্তাহের অভিজ্ঞতা থেকে শিষ্যদের শারীরিক সামর্থ্যের ঘাটতির বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দেন ডে।
“রক্ষণভাগে কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ট্রেনিংয়ে ভাল করেছে। মধ্যমাঠও ভাল, সেখানে জায়গা নেওয়ার জন্য চার জনের মধ্যে লড়াই চলছে। তবে স্কোরিংয়ে সমস্যা..এটা অবশ্য পুরো দেশের সমস্যা। আমি যতটুকু জানি, দেশেই এখন ভাল স্ট্রাইকার নেই। লিগে স্থানীয় স্ট্রাইকারদের ভাল পারফরম্যান্স নেই। তাই এই দলে সাদ খেলবে নাম্বার নাইন পজিশনে।”
“এখানে ছয় সপ্তাহ কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এ দেশের ফুটবলাররা শক্তিতে পিছিয়ে। তাদের পেশিগুলো সুগঠিত নয়, জোর কম। জামাল ভূঁইয়ার মতো সুগঠিত শরীর হয়তো তিন-চার জনের জনের আছে। এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যাও, খেলোয়াড়দের নিয়মিত জিম করার অভ্যাস নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ খেলতে গেলে শারীরিক সামর্থ্য খুব দরকার।”