জার্মানিকে বিদায় বললেন ক্ষুব্ধ ওজিল

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মেসুত ওজিল। তুরস্কের বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে ‘বর্ণবাদী এবং অশ্রদ্ধামূলক’ আচরণ পাওয়ার অভিযোগ তুলে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে না চাওয়ার কথা জানিয়েছেন আর্সেনালের এই মিডফিল্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2018, 07:35 PM
Updated : 23 July 2018, 09:39 AM

গত মে মাসে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে সমালোচিত হন ওজিল।
 
ওজিলের দাবি, রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানি বিদায়ের জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে এবং তিনি অনেক ঘৃণামূলক বার্তাসহ ই-মেইল এবং হুমকিও পেয়েছেন।
 
“যখন আমরা জিতি তখন আমি জার্মান, কিন্তু যখন আমরা হারি তখন আমি অভিবাসী।”
 
জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এখনও ওজিলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কিছু জানায়নি।
 
ওজিল জার্মানির ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন। জার্মানির হয়ে ৯২ ম্যাচে ২৩ গোল করা এই মিডফিল্ডার সমর্থকদের ভোটে ২০১১ সাল থেকে পাঁচবার জাতীয় দলের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
 
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানদের আচরণের কারণে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে না চাওয়ার কথা জানান আর্সেনালের এই মিডফিল্ডার।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া লম্বা বিবৃতিতে ওজিল লিখেছেন, তার মনে হচ্ছে কর ও ভালো কাজে অনুদান দিলেও এবং বিশ্বকাপ জিতলেও তাকে জার্মানরা ‘মেনে নিতে পারেনি’।
 
এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তোলার পর জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) কড়া সমালোচনা করেছিল ওজিলকে। চারপাশের আচরণে ক্ষুব্ধ আর্সেনালের এই খেলোয়াড়।
 
“সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনার কারণে অনেক কষ্ট নিয়ে অনেক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমি আর জার্মানির হয়ে খেলব না; কারণ বর্ণবাদী এবং অশ্রদ্ধামূলক আচরণের শিকার হয়েছি বলে আমার মনে হচ্ছে।”
 
“দারুণ গর্ব এবং শিহরণ নিয়ে আমি জার্মানির জার্সি পরতাম, কিন্তু এখন আর না। নিজেকে অবাঞ্ছিত মনে হচ্ছে; আমি ২০০৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর যা অর্জন করেছি তা ভুলে যাওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
 
গত মে মাসে লন্ডনে একটি ইভেন্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা হয় ওজিল ও ইলকাই গিনদোয়ানের। গিনদোয়ানও ‍তুর্কি বংশোদ্ভূত। এরদোয়ানের সঙ্গে দুজনের ছবি প্রকাশ পেলে জার্মানির রাজনীতিবিদরা সমালোচনায় ‍মুখর হন। সমালোচনার মিছিলে ছিলেন জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও। ওই ছবির ভেতরে রাজনীতি ছিল না বলে জানান ওজিল।

“এটা রাজনীতি বা নির্বাচন ছিল না; এটা ছিল আমার পরিবারের দেশের সবচেয়ে বড় পদটাকে শ্রদ্ধা জানানো।”