গত মে মাসে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে কোচশূন্য হয়ে পড়েছিল রিয়াল; সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্লাবটিকে অভূতপূর্ব এই সাফল্য এনে দেওয়া জিনেদিন জিদান।
এরপর জুনে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর দুই দিন আগে আচমকা লোপেতেগির সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দেয় রিয়াল, যার অধীনে বিশ্বকাপ অভিযানে গিয়েছিল স্পেন। পরিপ্রেক্ষিতে তার পরদিনই লোপেতেগিকে বহিষ্কার করে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
সেসব পেছনে ফেলে এখন লোপেতেগির সব ভাবনা রিয়ালকে নিয়ে। সোমবার তার অধীনে ক্লাবের প্রথম অনুশীলনে ১৪ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিলেন গ্যারেথ বেল ও করিম বেনজেমা।
দলের বিষয়ে ক্লাবের ওয়েবসাইটে লোপেতেগি বলেন, “যা কিছুই হোক না কেন, আমি সত্যিই শক্তিশালী একটা দল পেয়েছি। আর কিছু পরিবর্তন হবে এবং কিছু পরিস্থিতি আসবে যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। আমরা খুব শক্তিশালী একটা দল পাব, যে দল সামনে আসা সব চ্যালেঞ্জকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারবে।”
গত পাঁচ মৌসুমে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ক্লাবের চাওয়া সম্পর্কে সচেতন আছেন বলে জানিয়েছেন লোপেতেগি। সে লক্ষ্যে তার মিশন শুরু হবে আগামী মাসে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপ দিয়ে।
“আমি বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে বেশি চাহিদাপূর্ণ ক্লাবে যোগ দিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, ওইসব চাওয়া আমি পূরণ করতে পারব। শিরোপা জয়ের প্রথম সুযোগের লক্ষ্যে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে, যা ১৫ অগাস্ট আতলেতিকোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসবে।”
১৯ বছর বয়সে মাদ্রিদের যুব প্রকল্পে যোগ দিয়ে ব্যাকআপ গোলরক্ষক হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দুই বছর কাটিয়েছিলেন লোপেতেগি। পরে ২০০৮-০৯ মৌসুমে যুব দলটির কোচিং করান তিনি। আর এবার রিয়ালের মূল দলের দায়িত্ব পেয়ে ভীষণ খুশি ৫১ বছর বয়সী কোচ।
“রিয়াল মাদ্রিদে ফেরাটা সবসময়ই বিশেষ কিছু কারণ এটাকে আমি সবসময় নিজের বাড়ি মনে করেছি। এখানে আমি বেড়ে উঠেছি এবং আমার কাজ শিখেছি। আজকে আমি যা তাতে ক্লাবটির বড় ভূমিকা আছে। মূল দলের কোচ হয়ে ফেরা খুব বিশেষ কিছু এবং এটা দায়িত্ব ও রোমাঞ্চের একটা উৎস।”