গোল্ডেন বল মদ্রিচের

টুর্নামেন্ট জুড়ে ক্রোয়েশিয়াকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে মাঝমাঠ সামলেছেন, আক্রমণের সূচনা করেছেন। দারুণ খেলে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন লুকা মদ্রিচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 05:36 PM
Updated : 15 July 2018, 10:04 PM

রোববার লুজনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভাঙে ক্রোয়েশিয়ার। শিরোপা লড়াইয়ে তেমন জ্বলে উঠতে না পারলেও দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখা মদ্রিচ করেন দুটি গোল।

মঞ্চে উঠে পুরস্কার হাতে নিয়ে হাসতে পারলেন না মদ্রিচ। গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসির মতো তাকেও যে থাকতে হলো ফাইনালের পরাজিত দলে। তাই ব্যক্তিগত অর্জনে খুশি হলেও বিশ্বকাপ জিততে না পারায় হতাশ রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার।

“আমি এই পুরস্কারে গর্বিত। সমর্থকদের অবিশ্বাস্য সমর্থন আমাকে আরও সুখী করেছে। আপনারা জানেন, হার সত্ত্বেও আমি বড় কিছু অর্জন করেছি কিন্তু আপনি যখন বিশ্বকাপ শিরোপার খুব কাছাকাছি এসে পাবেন না তখন এটা কঠিন।”

বেলজিয়ামের তারকা ফরোয়ার্ড এদেন আজার সিলভার বল এবং ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমান পেয়েছেন ব্রোঞ্জ বল।

চতুর্থ হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ করা ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন ৬ গোল নিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। ৪টি করে গোল নিয়ে গ্রিজমান সিলভার বুট ও বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু ব্রোঞ্জ বুট পেয়েছেন।

এমবাপে, পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং রাশিয়ার দেনিস চেরিশেভও ৪টি করে গোল করেন। কিন্তু গোলে সহায়তা করার হিসাবে পিছিয়ে তারা। গ্রিজমান সতীর্থদের দিয়ে দুটি ও লুকাকু একটি করে গোল করান। এমবাপে, রোনালদো ও চেরিশেভের কোনো ‘অ্যাসিস্ট’ নেই।

সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের তরুণ ফরোয়ার্ড এমবাপে। লুজনিকির ফাইনালে ৬৫তম মিনিটে দলকে চতুর্থ গোল এনে দেন পিএসজির এই তারকা। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে পেলের গোলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জালের দেখা পেলেন এমবাপে।

সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভ জিতেছেন তৃতীয় হয়ে রাশিয়ার আসর শেষ করা বেলজিয়ামের থিবো কর্তোয়া। সাত ম্যাচে মাত্র ছয়বার পরাস্ত হন তিনি।

পানামা এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ফের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো গোল হজম করেননি কর্তোয়া।

চার ম্যাচে মাত্র দুটি হলুদ কার্ড পাওয়া স্পেন জিতেছে ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড।