ফ্রান্সে চলা উন্মাদনায় ভাসছে না দল: লরিস

দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনায় দেশে চলা উন্মাদনায় ভেসে যাচ্ছে না ফ্রান্স দল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে নিখুঁত ম্যাচ খেলার দিকেই পুরো মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরিস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2018, 04:18 PM
Updated : 14 July 2018, 04:18 PM

আগামী রোববার লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি। ১৯৯৮ সালের পর দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের আশা দেখছে ফরাসিরা। অন্যদিকে প্রথম শিরোপার স্বপ্ন ক্রোয়াটদের। লরিস দাবি করলেন, ফ্রান্সে কি হচ্ছে জানা নেই তাদের।

“সত্যি বলতে আমরা আমাদের ছোটো গণ্ডির মধ্যে আছি। আমরা জানি না ফ্রান্সে কি হচ্ছে।”

“লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি- এই ভাবনা থেকে অনেক দূরে আছি আমরা। আমরা একটি উচ্চমানের দলের মুখোমুখি হব এবং আমাদের মতো তারাও সমান কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য।”

“তারা তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেখিয়েছে এবং আগামীকাল জিততে হলে আমাদের দারুণ একটা দল হয়ে খেলা প্রয়োজন।”

শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর ফাইনালে ওঠার পথে কোনো ম্যাচই ৯০ মিনিটের বেশি খেলার দরকার হয়নি ফ্রান্সের। দেশমের দল কোয়ার্টার-ফাইনালে উরুগুয়ে এবং সেমি-ফাইনালে বেলজিয়ামকে হারায়।

অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়াকে নকআউট পর্বের ডেনমার্ক, রাশিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে খেলে জিততে হয়েছে। ডেনমার্ক ও বিশ্বকাপের স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে জ্লাতকো দালিচের দল জিতেছিল টাইব্রেকারে। প্রতিপক্ষের মানসিক শক্তি নিয়ে তাই সতীর্থদের সতর্ক করে দিচ্ছেন লরিস।

“ক্রোয়েশিয়া তাদের মানসিক শক্তি দেখিয়েছে, যেটা অবিশ্বাস্য। টানা তিন ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে খেলে তারা ফাইনালে এসেছে। এই দলটায় বিশেষ কিছু আছে।”

“তাদের অবিশ্বাস্য দলীয় শক্তিও আছে। তাদের প্রতি আমাদের অনেক শ্রদ্ধা আছে। জিততে হলে আমাদের অনেক উঁচু দরের এবং নিখুঁত ম্যাচ খেলা প্রয়োজন।”

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে নিজেদের মাঠে প্রথম শিরোপা জিতেছিল তারা। ২০০৬ সালের ফাইনালে তারা হেরেছিল ইতালির কাছে।

গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেও পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙে ফ্রান্সের। সেই হার ভুলে যাওয়ার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানান লরিস। বর্তমান দলের অনেকে ইউরোর দলের অংশ নয় বলেও জানান তিনি।

“আমি মনে করি যে আমাদের দল খুব শান্ত আছে। আমি আসলেই জানি না, আমরা কত দূর এসেছি তা উপলব্ধি করছি কিনা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমাদের ভেতরে ওই শক্তিটা ছিল, যে কোনো চ্যালেঞ্জ আমরা ডিঙাতে পারি।”

“আগামীকালের ম্যাচটি আমাদের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এটা বিশেষ একটা ম্যাচ হবে। কেননা এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য পূরণে মনোযোগ দিতে হলে আমাদের শান্ত থাকতে হবে।”