সিনেমার এক্সট্রা থেকে ফাইনালে পিতানা

চলচ্চিত্রে ‘এক্সট্রা’ হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছিলেন ডিসকোর সিকিউরিটি গার্ড। আর্জেন্টিনার রেফারি নেস্তর পিতানা এবার রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করবেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2018, 03:17 PM
Updated : 14 July 2018, 03:17 PM

আগামী রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শিরোপা লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। এ ম্যাচের পরিচালনা করতে নামলে দারুণ রেকর্ড ছুঁবেন ৪৩ বছর বয়সী পিতানা। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে একই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল পরিচালনা করা রেফারি হবেন তিনি। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে তার স্বদেশি হোরাসিও এলিসন্দো এই কীর্তি গড়েছিলেন।

ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা পিতানা আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলের চেনা মুখ। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলের মেজাজি খেলোয়াড়েরাও তার সঙ্গে সুবিধা করতে পারে না।

“পিতানা পাথরের মতো কঠিন”, বলেন ফিফার রেফারিং কমিটির প্রধান পিয়েরলুইজি কল্লিনা।

“তিনি খেলোয়াড়দের প্রতিবাদ আর দাবিতে দমবেন না।”

ট্রান্সফারমার্কেট ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পিতানা ৩৪৭টি পেশাদার ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এক হাজার ৬৫৮টি হলুদ কার্ড এবং ১০৮টি লাল কার্ড দেখিয়েছেন খেলোয়াড়দের। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর ৮১বার পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি।

আঞ্চলিক পর্যায়ে বাস্কেটবল এবং ফুটবল খেলা পিতানা রেফারিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন এবং শরীরিক শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৯৭ সালের আর্জেন্টাইন চলচ্চিত্র ‘লা ফুরিয়া’তে কারারক্ষীর ছোট ভূমিকাতেও কাজ করেন পিতানা। এছাড়া লাইফগার্ড এবং একটি ডিসকোর সিকিউরিটি গার্ডের চাকরিও করেন তিনি।

২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রেফারি হিসেবে অভিষেক হয় পিতানার। তিন বছর পর হন আন্তর্জাতিক রেফারি। গত ব্রাজিল বিশ্বকাপেও তিনি চারটি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন।

“ফুটবল ভালোবাসে এ রকম যে কোনো শিশুর কাছে বিশ্বকাপ ফাইনালে থাকাটা স্বপ্ন”, ফিফার ওয়েবসাইটে বলেন পিতানা।

“আমরা যেখানে আছি সেখানে পৌঁছাতে এই দল অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছে। রেফারিংয়ের দুনিয়ায় আমরা অন্যতম সেরা অর্জন করেছি। আর এখন আমরা সর্বোচ্চ সেরা উপায়ে কাজটা শেষ করতে চাই।”