প্রিমিয়ার লিগে আসা নয় দালিচের মনোযোগ ফাইনাল নিয়ে

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোনো দলের হাল ধরার সম্ভাবনা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ জানিয়েছেন, আপাতত তার সব ভাবনা রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো ক্রোয়েশিয়ার কোচদের সেভাবে মূল্যায়ন করে না বলেও ক্ষোভ জানান তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2018, 07:42 AM
Updated : 14 July 2018, 07:42 AM

আগামী রোববার লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তোলায় দালিচ এখন পরিচিত মুখ।

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে সংগ্রাম করা ক্রোয়েশিয়ার কোচ আন্তে সেসিচকে বিদায় করে দিয়ে দালিচকে নিয়োগ দিয়েছিল দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এরপর প্লে-অফে গ্রিসকে পেছনে ফেলে মূল মঞ্চে উঠে আসে ক্রোয়াটরা।

কোচিং ক্যারিয়ারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দল আল আইনকে ২০১৬ সালের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে তোলা দালিচ এখন আরও বড় অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে। তাই নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যতের চেয়ে লুজনিকির ফাইনাল নিয়ে মনোযোগী তিনি।

“আমি আসলেই এখন এটা (প্রিমিয়ার লিগে আসা) নিয়ে ভাবতে পারি না। কেননা, আমরা যেহেতু বিশ্বের সেরা দল হওয়ার চেষ্টা করছি, সেহেতু এ সময় ওটা নিয়ে ভাবা ক্রোয়েশিয়ার কিছু মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতে পারে। এখন আমাদেরকে বড় কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।”

“ইউরোপের বড় লিগগুলোয় আপনারা বড় নামের কোচ খোঁজ করেন এবং এটা পুরোপুরি ভুল। লোকে বড় চাকরি পায় কারণ তারা বড় খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু এর কি মানে?”

“আমি একটা ছোট দলে শুরু করেছিলাম। তাদেরকে সরাসরি বলেছিলাম যে, একটা বড় নাম একটা বড় ভুলের সমান এবং এটা মোটা অঙ্কের টাকা খসিয়ে দেবে।”

“ইউরোপের অনেক কোচ যারা তাদের নামের কারণে বড় চাকরি পায়, তাদের মতো করে আমার থালায় কিছুই দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমি সবসময় বলি, আমাদের একটা বার্সেলোনা বা একটা (রিয়াল) মাদ্রিদ দিন এবং আমি শিরোপাগুলো জিতব।”

ইউরোপের ক্লাবগুলোয় ক্রোয়েশিয়ার কোচের সাফল্য পেলেও তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে না বলেও অভিযোগ করেন দালিচ।

“যদিও ক্রোয়েশিয়ার কোচ স্লাভেন বিলিচ এবং নিকো কোভাচের বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে ভালো সাফল্য আছে কিন্তু তারপরও ইউরোপে আমাদের শ্রদ্ধা করা হয় না। আমার ক্যারিয়ার এবং জীবনের পথচলায় আমি সবসময় কঠিন পথ নিয়েছি এবং লড়াই করেছি। আমি নিচু তলা থেকে শুরু করেছিলাম এবং এক বছরের মধ্যে এশিয়ার সেরা কোচ হয়েছিলাম।”

“আমি এশিয়ার সেরা ক্লাবের কোচ ছিলাম এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিলাম। আপনি এটা নিয়ে নাক সিঁটকাতে পারেন না। ওটা আমাকে অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছিল। আমি সেখানে সাত বছর ছিলাম এবং এটা কঠিন একটা পথ ছিল কিন্তু আমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলাম।”

“যখন ক্রোয়েশিয়া ডাকল আমার মনে কোনো দ্বিধা বা সন্দেহ ছিল না। আমি জানতাম নিজের ও খেলোয়াড়দের প্রতি বিশ্বাসকে ভিত্তি করে আমরা পারব। আমার, কোভাচ এবং বিলিচের মতো কোচ সেটা পারে। আমরা জানি যে আমরা কি-এটা তারই প্রমাণ। কিন্তু আমরা কোচ হিসেবে মূল্যায়নের বেলায় পিছিয়ে। এখন আমরা সবকিছু দেখিয়েছি যে আমরা অর্জন করতে পারি এবং আমরা গর্বিত।”