ফাইনালের জন্য প্রাণশক্তি আছে ক্রোয়েশিয়ার: রাকিতিচ

নকআউট পর্বে টানা তিন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে খেললেও ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার ‘পর্যাপ্তের চেয়েও বেশি প্রাণশক্তি’ থাকবে বলে দাবি করেছেন দলটির মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2018, 06:30 PM
Updated : 13 July 2018, 06:30 PM

আগামী রোববার লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে এবং এরপর কোয়ার্টার-ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়াকে ক্রোয়েশিয়া হারিয়েছিল টাইব্রেকারে। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে আসে ক্রোয়াটরা।

রাকিতিচের সতীর্থদের কারো কারো মধ্যে টানা তিনটি ম্যাচ ১২০ মিনিট করে খেলার ক্লান্তির ছাপ দেখা গিয়েছিল সেমি-ফাইনালের পর। জয়ের পর মাঠ ছাড়তেও তাদের কষ্ট হওয়া দেখে মনে হচ্ছিল তাদের প্রাণশক্তি ফুরিয়ে গেছে। তবে ফাইনালে ওসব ক্লান্তির প্রভাব খুব একটা প্রভাব থাকবে না বলে দাবি করেন রাকিতিচ।

“ফাইনালের জন্য আমাদের বাড়তি বল এবং প্রাণশক্তি থাকবে; এ নিয়ে আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না।”

“এটা কেবল আমাদের জন্য নয়, সব ক্রোয়াটদের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক ম্যাচ। মাঠে সাড়ে ৪৫ লাখ খেলোয়াড় (ক্রোয়েশিয়ার মানুষ) থাকবে। আমরা একে অন্যকে টেনে নেব; আমাদের প্রাণশক্তি থাকবে। আমরা মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়তে চাই এবং বলতে চাই, আমরা সব কিছু করেছিলাম।”

১৯৯৮ সালে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেবার স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ক্রোয়াটরা আসর শেষ করে তৃতীয় হয়ে। রাকিতিচ অবশ্য কুড়ি বছর আগের ম্যাচ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না।

“আমাদের সেই ম্যাচটা পেছনে ফেলে রাখতে হবে। ইতিহাস ইতিহাসই এবং অতীত অতীতই। কিন্তু আমাদের সেই অতীতকে পেছনে রাখতে হবে। তারা সেবার শিরোপা জিতেছিল। রোববার আমরা জিততে চাই।”

রাকিতিচ ক্লাব ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগসহ অনেক শিরোপা জিতেছেন। সৃষ্টিশীল এই মিডফিল্ডার বিশ্বকাপের জন্য সব শিরোপা বিনিময় করতে রাজি। এমনকি যদি তাকে পরের দিন অবসর নিতে হয়, তাতেও রাজি ৩০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

“আমি বিশ্বকাপের জন্য সব শিরোপা বিনিময় করব। যদি বিশ্বকাপ জয়ের মূল্য হিসেবে আমার বুটজোড়া তুলে রাখতে হয়, তাহলে আমি অবশ্যই তা করবো। আমার দেশের সাফল্যের জন্য আমি যে কোনো মূল্য দিতে রাজি। ব্যক্তিগত প্রাপ্তি কোনো বিষয় নয়, এটা আমাদের সবার ব্যাপার।”

ফাইনালের রেফারি নেস্তর পিতানার প্রশংসা করেছেন রাকিতিচ। শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার টাইব্রেকারে জেতা ম্যাচেও দায়িত্বে ছিলেন আর্জেন্টিনার এই রেফারি। ওই ম্যাচে দুই দলের প্রতি পিতানা এবং তার সহকারীদের আচরণ নিখুঁত ছিল বলে জানান তিনি।

“সম্ভবত এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ। আশা করি ম্যাচের পর আমরা তার সঙ্গে করমর্দন করব এবং সৃষ্টিকর্তা চান তো তিনি আমাদের শিরোপা জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাবেন।”