ফাইনালে ‘ক্লান্ত ক্রোয়েশিয়াকে’ আশা করছে না ফ্রান্স

নকআউট পর্বে টানা তিনটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচ খেলা ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতায় বিস্মিত ফ্রান্স। আর তাই ফাইনালে ক্রোয়াটরা ক্লান্ত থাকবে, এমনটাও কেউ প্রত্যাশা করছে না বলে জানিয়েছেন ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2018, 01:42 PM
Updated : 13 July 2018, 01:42 PM

রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।

শেষ ষোলোয় ডেনমার্ক ও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জয় আসে পেনাল্টি শুট আউটে। আর বুধবার সেমি-ফাইনালে মারিও মানজুকিচের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংলিশদের পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ১৯৯৮ সালে তৃতীয় হওয়া দলটি।

অন্যদিকে, নকআউট পর্বে নিজেদের সব ম্যাচে নির্ধারিত সময়েই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। শেষ ষোলোয় লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালে যথ্রাক্রমে পেরোয় উরুগুয়ে ও বেলজিয়াম বাঁধা।

এই তিন রাউন্ড মিলিয়ে ক্রোয়াটদের চেয়ে পুরো ৯০ মিনিট কম খেলেছে ফরাসিরা। তবে অতিরিক্ত সময় মাঠে কাটানোয় ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা ক্লান্ত থাকতে পারে, এমনটা মনে করেন না মাতুইদি।

“আমি মনে করি না, এটা কোনো বিষয়।”

“শেষ ম্যাচে আমরা দেখলাম যে, তারা দুই দলের মধ্যে তুলনামূলক শক্তিশালীভাবে শেষ করল। তাদের দেখে মনে হয়নি যে, তারা টানা তৃতীয়বারের মতো অতিরিক্ত সময় খেলছে। বিস্ময়করভাবে, তাদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলছে।”

“তারা একটা দল যারা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে। দলটির খেলোয়াড়রা অনেক অভিজ্ঞ। ম্যাচটার জন্য তারা প্রস্তুত থাকবে এবং আমি মনে করি না অতিরিক্ত সময় বা পেনাল্টি তাদের জন্য একটা বাধা হয়েছে বা হবে।”

চলতি আসরই নিজের শেষ বিশ্বকাপ বলে জানান ৩১ বছর বয়সী মাতুইদি। বিশ্বকাপের ফাইনাল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন তিনি।

“তারা এমন একটা দল যারা বল ফিরে পাওয়ার পর রক্ষণ ও আক্রমণে ভালো। আমরা উঁচু মানের ও অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।”

“ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাদের দারুণ দক্ষতা আছে।”

ক্রোয়েশিয়াকে সমীহ করার পাশাপাশি মাতুইদি জানান, তারা নিজেরাও প্রস্তুত।

“একটা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা আমাদের জীবনের সেরা ম্যাচ। এটা একটা স্বপ্ন যা আমি শিশুকাল থেকে দেখে আসছি। শিরোপাটা এত কাছে মনে হচ্ছে যেন আমরা প্রায় ছুঁতে পারি। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে এখনও অনেক কিছু করা বাকি।”

“আমরা ম্যাচটা জেতার জন্য সবকিছু প্রস্তুত করেছি, এমনকি যদি অতিরিক্ত সময় বা পেনাল্টিতেও যায়। জয় পাওয়াটাই মুখ্য।”