গত বুধবার মস্কোর সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়া। আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্সের মুখোমুখি দলটি। এ নিয়ে নকআউট পর্বে টানা তিন ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে খেলেও জিতেছে ক্রোয়াটরা।
নেইমার, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির মতো তারকার বিদায় নেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে ক্রোয়েশিয়ার সাফল্যের ব্যাপারে দালিচ জানান, বিশ্বকাপের পরীক্ষায় উতরাতে দলীয় প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়ার মানসিকতা তৈরি ছিল তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
“আমার কাছে মেসি বিশ্বসেরা খেলোয়াড় এবং নেইমার বিশ্বসেরার খুব কাছাকাছি। কিন্তু এই বিশ্বকাপে তারকানির্ভর দলগুলো তাদের বড় নামের খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করেছে এবং তারা এখন দর্শক। এখনও টিকে আছে জমাট-ঐক্যবদ্ধ দল, যারা লড়াই করছে।”
“এটাই সবচেয়ে অদ্ভুতুড়ে বিশ্বকাপ। ফুটবল অনেক এগিয়ে যাওয়ায় যে কোনো দলেরই এখন গোছালো রক্ষণভাগ থাকতে পারে। তাই জয়ের ব্যবধান খুব বড় হচ্ছে না।”
রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ ও বার্সেলোনার ইভান রাকিতিচ ক্রোয়েশিয়ার মাঝ মাঠের ইঞ্জিন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলটির জয়ের নায়ক মারিও মানজুকিচ। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এই ফরোয়ার্ড এখন খেলছেন ইউভেন্তুসের হয়ে; তার অতিরিক্ত সময়ের গোলেই ইংল্যান্ডকে হারায় ক্রোয়েশিয়া।
দালিচ জানান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর গত বুধবার রাতে শিষ্যদের উদযাপনের অনুমতি দিয়েছিলেন।
“ছেলেরা ক্লান্ত ছিল। তারা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল; তারা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ছিল। তারা একটা দিন ছুটি পেয়েছে এবং আমি তাদেরকে আগামীকাল পরখ করব। তারা মুক্তভাবে উদযাপন করেছে এবং আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি।”
ক্রোয়েশিয়ার এই সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে খুবই খুশি দালিচ।
“এটা হয়ত যে কোনো ক্রোয়েশিয়ানের জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অর্জন। এটা একটা বৈশ্বিক সাফল্য এবং এটা আমার অধীনে হওয়াতে আমি খুবই খুশি।”