মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে আগামী রোববার রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার চূড়ান্ত লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
নিজেদের মাঠে ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে হেরেছিল ফ্রান্স। সে ভাবনা থেকেই এবারের ফাইনালের আগে নিজেদেরকে ফেভারিট ভাবতে রাজি নন পগবা।
২০১৬ ইউরোতে সেমি-ফাইনালে জার্মানিকে হারানোর পর ফাইনালে ওই টুর্নামেন্টের ‘আন্ডারডগ’ পর্তুগালের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটিতে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল দিদিয়ের দেশমের দল।
পর্তুগালের কাছে ওই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়েছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে দল খুবই সচেতন বলে জানালেন পগবা।
“আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন। আমরা দুই বছর আগের মতো একই ভুল করতে চাই না। এটা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। এই কাপ বাড়ি নিয়ে যেতে আমরা আমাদের সবটুকু দিতে চাই।”
“আমার মনে হয়, ইউরোতে আমরা ভেবেছিলাম যে, আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেছে। মানসিকতাটা এখনকার মতো ছিল না। আমি মিথ্যা বলবো না, জার্মানিকে যখন আমরা হারালাম তখন ওটাকেই ফাইনাল ভেবেছিলাম। ফাইনালে হারের স্বাদ আমি জানি। আমি চাই না, এটা আবারও ঘটুক।”
এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই উন্নতির ছাপ দেখিয়েছে ফ্রান্স। ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলটি নক-আউটের ম্যাচগুলোতে অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকার ছাড়াই আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও বেলজিয়ামকে হারিয়েছে।
অন্যদিকে, ফাইনালে আসার পথে ক্রোয়েশিয়াকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ডেনমার্কের বিপক্ষে শেষ ষোলোয় ও রাশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছে দলটি। সেমি-ফাইনালেও প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ও অতিরিক্ত সময়ের দুই গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় পায় জ্লাতকো দালিচের দল।
সেমি-ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার খেলা নিয়ে পগবা বলেন, “ম্যাচটা ক্রোয়াটদের জন্য খুব কঠিন ছিল। পিছিয়ে ছিল তারা। তবে মানসিকভাবে তারা খুবই শক্তিশালী। ফাইনালে দুইটা দল, একটা কাপ আর ৯০ মিনিট।”
“আমাদের কাছে, আমরা ফেভারিট নই। টুর্নামেন্টের শুরুতে আমরা যেমন ছিলাম তেমনই আছি। আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। আমরা দল হয়ে খেলি, আর এটাই আমাদের শক্তি। আমরা একটা লক্ষ্যে ছুটে চলছি এবং এতে সফল হওয়ার জন্য সর্বোচ্চটা দেব।”
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবার নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে। আর ওই আসরে তৃতীয় হওয়া ক্রোয়েশিয়া আগে কখনোই ফাইনাল খেলেনি।