সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সামুয়েল উমতিতির একমাত্র গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। লুজনিকি স্টেডিয়ামে আগামী রোববার তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের জয়ী দল।
সেমি-ফাইনালে পুরো ম্যাচজুড়েই নিজের গতির ঝলক দেখিয়েছেন এমবাপে। দলের জন্য ছয়টি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই ফাইনালে পৌঁছানোর ঘোর কাটাতে পারছেন না তিনি।
“এটা অবিশ্বাস্য। এটা স্বপ্নেরও স্বপ্ন, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, সবকিছুই।”
“আমার বলার ভাষা নেই। এমনকি আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি খুব বড় স্বপ্নবাজ, আমিও কি এমনটা কল্পনা করতে পেরেছিলাম।”
“এখনও আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। কিন্তু আমরা যা কিছু করেছি তার জন্য আমরা গর্বিত।”
বিশ্বকাপে দারুণ খেললেও এখন ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবতে চান না এমবাপে।
“আমি বিশ্বকাপটা জিততে চাই- ব্যালন ডি’অর আমার মাথাব্যথা নয়।”
সেন্ত পিতার্সবুর্গে দলকে প্রেরণা জ়োগাতে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে হাজির হন ড্রেসিংরুমে।
“চেঞ্জিং রুমে কোচ ও আমরা সবাই খুব খুশি ছিলাম। সবাই একে অপরকে আলিঙ্গন করছিলাম। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ আমাদের দেখতে এসেছিলেন। সবাই আমাদের সঙ্গে আছে।”
অন্যদিকে ফ্রান্সের এই সাফল্যকে দলগত চেষ্টার ফল বলে মনে করেন সেমি-ফাইনালের গোলদাতা উমতিতি।
“অনেক গর্বের, আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি।…গোলটা আমি করেছি। কিন্তু আমরা একটা ভালো ম্যাচ খেলেছি এবং আমি সবার জন্য গর্বিত।…আমরা প্রতিদিন কাজ করেছি, ফাইনালে পৌঁছে আমরা আমাদের লক্ষ্য স্পর্শ করেছি। আমি খুবই সস্তুষ্ট।”