রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে উমতিতির হেড থেকে আসা ওই একমাত্র গোলে জিতেছে দিদিয়ের দেশমের দল। দুর্দান্ত খেলা অধিনায়ক এদেন আজার আর কেভিন ডে ব্রুইনে অনেক সুযোগ তৈরি করলেও এবারের আসরে প্রথমবারের মতো গোলশূন্য রইল রর্বের্তো মার্তিনেসের দল।
মঙ্গলবার সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণে এগিয়ে থাকা বেলজিয়াম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ১৫তম মিনিটে। ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে এদেন আজারের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্লেইস মাতুইদির শট আস্থার সঙ্গে গ্লাভসে নেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন আজার। ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে কোনোমতে মাথা লাগানোয় বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
২২তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে বেলজিয়ামকে গোলবঞ্চিত করেন উগো লরিস। কর্নার থেকে বল পেয়ে ডি-বক্স থেকে টবি আল্ডারভাইরেল্ডের আচমকা শট ফেরান ডানে ঝাঁপিয়ে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল বেলজিয়ামের। কিন্তু প্রথম সুযোগেই গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। ৫১তম মিনিটে গ্রিজমানের কর্নারে লাফিয়ে উঠে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান বার্সেলোনার ডিফেন্ডার উমতিতি।
চার মিনিট পর এমবাপের দারুণ ব্যাকহিলে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন অলিভিয়ে জিরুদ। তবে চেলসির এই ফরোয়ার্ডের শট আটকায় রক্ষণে।
বদলি হিসেবে নেমেই ড্রিস মের্টেন্স সমতা ফেরানোর দুটো সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ৬১তম মিনিটে তার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠিকমতো ভলি নিতে পারেননি অনেকটা ফাঁকায় থাকা ডে ব্রুইনে। আর চার মিনিট পর মের্টেন্সের ক্রসে মারোয়ান ফেলাইনির হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
৮১তম মিনিটে আক্সেল উইতসেলের বাঁক খাওয়া শট ফিরিয়ে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা লরিস। অন্য প্রান্তে যোগ করা ছয় মিনিটে গ্রিজমান আর কোরোঁতাঁ তোলিসোর দুটো শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি কোর্তোয়া।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে সবশেষ ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ফরাসিরা।
আগামী রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে বিজয়ীরা।
আর শনিবার সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থানের জন্য এখন লড়বে বেলজিয়াম।