সেন্ত পিতার্সবুর্গে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে এই পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা বেলজিয়ামের খুব বেশি নেই। এর আগে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো আসরে প্রথম বারের মতো সেমি-ফাইনালে খেলেছিল তারা। সেবার প্রতিযোগিতাটিতে চতুর্থ হয় ইউরোপের দেশটি। বিশ্বকাপে সেটাই তাদের সেরা সাফল্য।
এমন ধরনের ম্যাচে ‘টিম স্পিরিট’ ও ঐক্য খুব কাজে দেয় বলে মত মার্তিনেসের। আর সেটা তার দলে আছে বলে জানালেন এই স্প্যানিশ কোচ।
"এই খেলোয়াড়রা একসঙ্গে অনেক বছর ধরে খুব ভালোভাবে পরিশ্রম করছে। তারা আজ যেখানে আছে সেটা তাদের প্রাপ্য।"
"একটা দল হয়ে গড়ে ওঠার জন্য আমরা কাজ করেছি আর আমার মতে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। খেলোয়াড়দের দক্ষতা ও মেধা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় একটা দল হয়ে খেলাটা অপরিহার্য।"
"এটা এক অজানার দিকে যাত্রা। আমরা কখনও এই ধরনের অবস্থায় আসিনি। এ কারণেই যেকোনো সময়ের চেয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে আমাদের বেশি দলীয় চেতনার দরকার। আমাদের সেরা রূপে হাজির হতে হবে।"
প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজের দলের অনেক কিছুতেই মিল দেখছেন মার্তিনেস। বিশেষ করে দুই দলেই মেধাবী খেলোয়াড়দের উপস্থিতিটা চোখে পড়ছে তার।
বেলজিয়ামের যেমন রোমেলু লুকাকু, এদেন আজার ও কেভিন ডে ব্রুইনের মতো তারকা খেলোয়াড় আছে, তেমনি ফ্রান্সের আছে অঁতোয়ান গ্রিজমান ও কিলিয়ান এমবাপে।
"উভয় দলেই তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার একটা মিশ্রণ আছে। এছাড়া আছে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়।"
শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান এমবাপে। দলের ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে করেন জোড়া গোল। তবে ফ্রান্সের কোনো একজন খেলোয়াড়ের উপর পুরো নজর দিতে নারাজ মার্তিনেস।
"আমরা অন্য খেলোয়াড়দের কথা ভুলে যাব না। কারণ ফ্রান্সের খুব পরিপূর্ণ একটা আক্রমণভাগ আছে।"