এখন আমরা আরও চাই: মদ্রিচ

রাশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠা ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের ‍পুরস্কার নিয়ে খুব উচ্ছ্বাস নেই লুকা মদ্রিচের। ক্রোয়েশিয়া অধিনায়কের কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয়টিই বড়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল সামনে রেখে মদ্রিচ জানালেন তাদের আরও চাওয়ার কথা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2018, 07:10 AM
Updated : 10 July 2018, 08:47 PM

সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ করে ক্রোয়েশিয়া। অতিরিক্ত সময়ে দোমাগোই ভিদার গোলে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু মারিও ফের্নান্দেস রাশিয়াকে সমতায় ফেরালে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ গোলে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে সেরা চারে উঠেছিল তারা।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা মদ্রিচ দারুণ ছন্দ নিয়ে রাশিয়ায় পা রাখেন। বিশ্বকাপের দারুণ পারফরম্যান্স এই প্লেমেকারকে ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে রেখেছে। তবে মদ্রিচের ভাবনা শুধু দলকে নিয়ে।

“আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের দলের সাফল্য এবং আমরা বড় কিছু করেছি। আমরা এরই মধ্যে বড় একটা কাজ সম্পন্ন করেছি কিন্তু আমরা আরও কিছু করতে চাই।”

“রাশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে এবং অতিরিক্ত সময়ে আমরা আধিপত্য করেছিলাম; পেনাল্টির আগেই আমাদের ম্যাচটা শেষ করে দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু হয়ত ভাগ্যে লেখা ছিল আমাদের আরও নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।” 

জয়ের পর আনন্দে চোখের পানি ধরে রাখতে না পারা ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচের মনে হচ্ছে রাশিয়ার আসরে সামনে ম্যাচগুলোতে এখন আর কেউ ফেভারিট নেই। আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে সেরাটা দেওয়ার ছক কষছেন তিনি।

“ইভান রাকিতিচের পেনাল্টির পর আবেগ ছাপিয়ে গেল। আমরা নিজেদের খুশি করেছি; ক্রোয়েশিয়ার মানুষকেও খুশি করেছি। আমি সহসা কাঁদি না কিন্তু এখন কান্নার ভালো কারণ আছে।”

“অবশ্যই ইংল্যান্ডের জন্য কিছু শক্তি জমা রাখা আছে-আমরা থামব না; আমরা আমাদের সেরা ম্যাচটা খেলার চেষ্টা করব। আমাদের আর দুটি ম্যাচ খেলার আছে। আমরা খুবই অনুপ্রাণিত; আমরা আমাদের সবটুকু দিব।”

“এই বিশ্বকাপে কোনো ফেভারিট নেই। সব ম্যাচই ফিফটি-ফিফটি এবং আপনাকে লড়াই করতে হবে। ফেভারিটরা, বড় দলেরা বাড়ি ফিরেছে। যে দলগুলো কঠোর পরিশ্রম করেছে, যারা জমাট এবং ঐক্যবদ্ধ, তারাই এখনও এখানে আছে।”