পরিসংখ্যানে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া লড়াই

সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ৩২ দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পেছনে থাকা রাশিয়া পৌঁছে গেছে শেষ আটে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো শেষ পাঁচটি স্বাগতিক দলই খেলেছে সেমি-ফাইনাল। এই ধারা ধরে রাখতে রাশিয়াকে পেরোতে হবে ইউরোপের উঠতি ফুটবল শক্তি ক্রোয়েশিয়া বাধা। শনিবার সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2018, 11:11 AM
Updated : 6 July 2018, 11:11 AM

# গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভের নৈপুণ্যে শেষ ষোলোয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্বাগতিক রাশিয়া।

# ডেনমার্ককে শেষ ষোলোয় পেনাল্টি শুট আউটে হারায় ক্রোয়েশিয়া। ৩-২ ব্যবধানের জয়ে গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ ঠেকান তিনটি শট।

# গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ ও মিশরকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয় রাশিয়া। শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে নক আউট পর্বে পা রেখেছিল স্বাগতিকরা।

# ‘ডি’ গ্রুপে তিন ম্যাচই জিতে পুরো ৯ পয়েন্ট নিয়ে নক আউট পর্বে পা রাখে ক্রোয়েশিয়া। সেখানে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় জ্লাতকো দালিচের দল।

# সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছেছে রাশিয়া। ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সেরা অর্জন ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা।

# ১৯৯৮ সালে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিষেকে সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছিল ক্রোয়াটরা। সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পায় তারা। এটাই বিশ্বমঞ্চে দেশটির সেরা পারফরম্যান্স।

# ১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়ার থেকে আলাদা হওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়েশিয়া।

# আর্তেম জুবা ও দেনিস চেরিশেভ চলতি টুর্নামেন্টে রাশিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে গোল করেছেন। অন্যদিকে দুই গোল করে ক্রোয়েশিয়ার সেরা গোলদাতা অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ।

# আলেকসান্দার গোলোভিন, ফেদর স্মলভ, ইউরি গাজিনস্কি, ইলিয়া কুতেপভ ও রোমান জবনিন আর একটি হলুদ কার্ড পেলেই নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। তবে স্বাগতিকদের জন্য সুখবর আছে একটি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শেষ আটে দলে ফিরছেন ইগর স্মলনিকভ।

# ক্রোয়েশিয়ার আটজন ফুটবলার (ইভান রাকিতিচ, মার্সেলো ব্রজোভিচ, আন্তে রেবিচ, মারিও মানজুকিচ, শিমে ভারসালকো, ভেদরান চরলুকা, মার্কো পিয়াচা ও তিন ইয়াদভাই) আছেন শঙ্কায়। রাশিয়ার বিপক্ষে তারা একটি হলুদ কার্ড পেলে দল সেমি-ফাইনালে উঠলেও খেলতে পারবেন না।

# বিশ্বকাপে কখনোই রাশিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। সব মিলিয়ে দুই দলের আগের তিন লড়াইয়ে কোনো জয় নেই রাশিয়ার। দুটি ম্যাচ হয়েছে গোলশূন্য ড্র। আর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচে শেষ দেখায় ৩-১ গোলের জয় ক্রোয়াটদের।

# বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো শেষ পাঁচটি স্বাগতিক দলই (১৯৯০ সালে ইতালি, ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স, ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০৬ সালে জার্মানি ও ২০১৪ সালে ব্রাজিল) সেমি-ফাইনাল খেলেছে।

# চলতি আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ১০টি শট লক্ষ্যে রেখেছিল রাশিয়া। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। এর মধ্যে আবার স্পেনের বিপক্ষে আর্তেম জুবার শটটি স্পট কিকে।

# টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে নাইজেরিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ ও ৩-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া ক্রোয়েশিয়া নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই একটি করে গোল হজম করেছে। ২০০২ সালের পর থেকে এক আসরে আর কখনোই টানা তিন ম্যাচে গোল হজম করেনি তারা।

# ইউরোপিয়ান কোনো দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি হার ক্রোয়েশিয়ার (জয় ৫টি, ড্র ১টি)। অন্যদিকে বিশ্ব মঞ্চে কখনো কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি রাশিয়া (ড্র ১টি, হার ৩টি)। চলতি আসরের শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটির ফল ছিল ১-১।

# বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার শেষ ১২টি গোলের ১০টিই এসেছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।

# এর আগে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুইবার খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। দুইবারই হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। ১৯৯৮ সালের সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে আর ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হার মানতে হয় ক্রোয়াটদের।