মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়ে অনেকের নজরে পড়েছিলেন এমবাপে। গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে জোড়া গোল করে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল এমবাপেকে পেলের একটি কীর্তির পাশে বসিয়ে দেয়। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির পর প্রথম টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচ একাধিক গোল করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
নিজনি নভগোরোদে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও উরুগুয়ে। দেশমের বিশ্বাস প্রশংসা-প্রত্যাশার চাপ সামলে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেরাটা মেলে ধরবেন এমবাপে।
“আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সে যা করেছিল তা খুব ভালো ছিল। অবশ্যই এটা তাকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছে এবং এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এভাবে খেলাটা তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে।”
“এটা সয়ে নেওয়ার সময় সে পেয়েছে এবং আমি মনে করি দলের বাকিদের মতো সেও সামলে উঠেছে। আমরা সবাই এটা সামলে নেওয়ার জন্য সময় পেয়েছি। রোববার এবং সোমবার আমরা জয়ের স্বাদ আস্বাদন করেছিলাম এবং মঙ্গলবার থেকে আবারও পরের ম্যাচে মনযোগ দেওয়া শুরু করেছিলাম। এটাই শীর্ষ পর্যায়ের খেলার ধরন।”
“এখন আমাদের অবশ্যই নিরুদ্বেগ থাকা যাবে না যে সবকিছু সহজ, জীবনটা সুন্দর এবং বেশি প্রচেষ্টার দরকার নেই। কিলিয়ান বুদ্ধিমান, সে কথা শোনে এবং সে এগুলোর সবই জানে।”
“তার বয়স মাত্র ১৯ বছর কিন্তু সে মোনাকো থেকে পিএসজি গিয়েছে, যেখানে চাহিদা ভিন্ন এবং এখন সে বিশ্বকাপে, যেখানে প্রত্যাশা আরও বেশি।”
“অনেক ভালোকিছু করলেও সে শুধু শিখছে। এটাই স্বাভাবিক। মেধা যাই হোক না কেন সব খেলোয়াড়ের বেলায় এই বয়সটা শেখার।”
রাশিয়ায় গত চার ম্যাচে রক্ষণভাগের দৃঢ়তা দেখিয়েছে উরুগুয়ে। এ পর্যন্ত মাত্র এক গোল খেয়েছে তারা। আক্রমণভাগে আছে লুইস সুয়ারেস, এদিনসন কাভানির মতো ফরোয়ার্ড। দেশম তাই প্রতিপক্ষের রক্ষণের সঙ্গে প্রতিআক্রমণ নিয়ে চিন্তত।
“আর্জেন্টিনার চেয়ে উরুগুয়ে ভিন্ন দল। তাদের রক্ষণভাগ খুবই ভালোভাবে গোছালো এবং প্রতিআক্রমণে তারা ভীষণ বিপজ্জনক। আমাদের আসলেই খুব ধৈর্য নিয়ে খেলতে হবে।”