রাশিয়ার সব কৌশলের জন্য প্রস্তুত ক্রোয়েশিয়া

আক্রমণাত্মক খেলে গ্রুপ পর্ব পার হওয়া রাশিয়া নকআউট পর্বে স্পেনের বিপক্ষে কৌশল বদলে খেলেছিল রক্ষণাত্মক ফুটবল। বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনাল সামনে রেখে ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড ইভান পেরিসিচও জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের সব কৌশলের জন্য প্রস্তুত থেকেই মাঠে নামবেন তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2018, 12:10 PM
Updated : 5 July 2018, 12:53 PM

সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।

বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করা রাশিয়া গ্রুপ পর্বে দারুণ আলো ছড়িয়েছিল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর মিশরকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। এরপর উরুগুয়ের কাছে ৩-০ গোলে হেরে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় উঠে আসে স্বাগতিকরা। স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেয় দলটি।

গত রোববার স্পেনের বিপক্ষে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে এবং আক্রমণভাগে শুধু আর্তেম জুবাকে রেখে রক্ষণাত্মক কৌশল সাজিয়েছিল রাশিয়া। ৯০ মিনিটে রাশিয়ার জমাট রক্ষণ ভেদ করে স্প্যানিশরা মাত্র একবারই শট নিতে পেরেছিল। পেরিসিচ জানান রাশিয়ার সব ম্যাচ দেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তারা।

“হ্যাঁ, আমরা প্রায় তাদের সব ম্যাচই দেখেছি। স্পেনের বিপক্ষে তারা ভিন্ন কৌশল নিয়েছিল। কিন্তু আপনি যার বিপক্ষেই খেলুন না কেন, সব কৌশলের সঙ্গে আপনাকে অবশ্যই মানিয়ে নিতে হবে। তারা মনে করেছিল এটা তাদের জন্য সেরা কৌশল এবং আমি মনে করি তারা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল।”

“তাদের দুই কৌশলের জন্যই আমরা ভালো প্রস্তুতি নেব। ঠিকঠাকভাবে প্রস্তুতি নিতে আমাদের হাতে এখনও কয়েকটা দিন আছে।”

বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেকেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনালে ওঠার পর তৃতীয় হয়ে শেষ করেছিল তারা। দুই দশক আগের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ইন্টার মিলানের এই খেলোয়াড়।

“ওই পর্যায়ে থাকতে পারাটা হবে একটা স্বপ্ন। এখনই সময় এবং আমরা একই ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমরা আসলেই রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”

গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডকে হারানো ম্যাচগুলোতে ক্রোয়েশিয়া আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিল। কিন্তু গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় এসে তারাও রাশিয়ার মতো রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে শেষ পর্যন্ত ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারায়।

বিশ্বমানের মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিতিচ আছেন ক্রোয়েশিয়া দলে। আক্রমণভাগে আছে শীর্ষ পর্যায়ের ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ। এছাড়া আন্তে রেবিচ, আন্দ্রেই ক্রামারিচ, পেরিসিচ মতো ফরোয়ার্ডে সাজানো ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণভাগ গ্রুপ পর্বে প্রতি ম্যাচে কমপক্ষে দুটি করে গোল করে। আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে তারা ৩ গোল করেছিল। দলটির ফরোয়ার্ড রেবিচ অবশ্য রাশিয়ার চেয়ে নিজেদের খেলার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

“আমি মনে করি, আমাদের প্রথমে অবশ্যই নিজেদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কেননা, আমি মনে করি আমাদের দলে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। আমাদের শুধু সেটা মাঠে দেখানো প্রয়োজন এবং আমরা সেটা করতে পারব।”