শেষ ষোলোয় মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল করে ও করিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নেইমার। তবে মাঠের দারুণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে নাটুকেপনা করায় সমালোচনার মুখে পড়েন ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চার ম্যাচে দুটি গোল করার পাশাপাশি একটি গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার। যদিও বারবার ফাউলের শিকার হওয়া ব্রাজিল তারকাকে রেফারিদের সহানুভূতি পেতে কিছুটা অভিনয় করতেও দেখা গেছে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে দৃষ্টিকটুভাবে গড়াগড়ি খেয়েছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।
তবে প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার পর বিশ্বকাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফেরা নেইমারের উন্নতিতে মুগ্ধ উইলিয়ান।
“আমাদের সবাই জানে আমাদের দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কি পর্যায়ের দক্ষতা তার আছে।”
“সে প্রতিটি ম্যাচে উন্নতি করছে। আমাদের পরিকল্পনা হলো ফাইনালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ধীরে ধীরে উন্নতি অব্যাহত রাখা, যদি আমরা ততটা সৌভাগ্যবান হই।”
“সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, যে কোনো মুহূর্তে সে একটা ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে। আমরা সবাই সেটা জানি। তাই সে যেভাবে খেলছে তাতে আমিও খুব খুশি।”
শুক্রবার কাজান অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। সেদিন গোল করতে ক্লাব চেলসি সতীর্থ থিবো কোর্তোয়ার বাধা পেরোতে হবে উইলিয়ানকে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের প্রশংসাই করেছেন চেলসির এই মিডফিল্ডার।
“আমি মনে করি তার বিপক্ষে খেলাটা কঠিন। কারণ সে খুব ভালো আর লম্বা। কিন্তু তার বিপক্ষে গোল করতে এবারে আমাদের বিশেষ কিছু করতেই হবে।”
“আমরা তার দক্ষতা সম্পর্কে জানি। আমি মনে করি তার বিপক্ষে গোল করতে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই আমাদের চাওয়া।”
“আমাদের দলের গোলরক্ষকরা আছে। আলিসন, এদেরসন ও কাসিও তার মতোই দক্ষ। আমি মনে করি, আমাদের অনেক দক্ষ সব গোলরক্ষক আছে।”