আগামী শুক্রবার কাজান অ্যারেনায় মুখোমুখি হবে দুই দল। শেষ ষোলোয় জাপানের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করে বেলজিয়াম।
বেলজিয়ান গণমাধ্যমকে মার্তিনেস বলেন, “এই দল দুটি গোল করা ও ম্যাচ জেতার জন্যই গড়া। ব্রাজিলের বিপক্ষে বল পায়ে রাখা নয় বরং আপনি বল নিয়ে কি করবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”
“কিন্তু এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটা স্বপ্নের ম্যাচ। তারা এমন ম্যাচ খেলার জন্যই জন্মেছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা জিততে চাই। কিন্তু অন্যরা আমাদের কাছে এটা প্রত্যাশা করে না। আর সেটাই গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।”
“আমরা জানি যে আমরা কি করতে পারি। কিন্তু ব্রাজিল ফেভারিটের তালিকায় আছে।”
শুক্রবারের ম্যাচে সহজ কৌশলেই এগোতে চান মার্তিনেস।
“আমি মনে করি না এটা অনেক রহস্যের কোনো ম্যাচ হবে। যতটা পারি আমাদের রক্ষণ সামলাতে হবে এবং যখন আমাদের কাছে বল থাকবে তাদের ব্যথার কারণ হতে হবে। কৌশলটা এমনই সহজ হতে পারে। দল সে জন্য প্রস্তুত।”
জাপানের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে গোল করে একাদশে ঢোকার দাবি জোরালো করেছেন দুই মিডফিল্ডার মারোয়ান ফেলাইনি ও নাসের শাদলি। দল সাজাতে মধুর সমস্যায় থাকা মার্তিনেস আভাস দিয়েছেন ফেলাইনিকে শুরুর একাদশে রাখার।
“এই দলে একজন কোচ হিসেবে আমার অনেক বিকল্প আছে। কিন্তু আমি জানি যে আমি কি করতে চাই। আমাদের শক্তি প্রয়োজন হবে। যদি আমরা সোমবারের মতো একই মানসিকতা দেখাতে পারি, আমাদের অনেক বড় সুযোগ থাকবে।”
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে বেলজিয়াম। ১৯৮৬ সালে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছিল ইউরোপের দেশটি। বিশ্ব মঞ্চে এটিই তাদের ইতিহাসের সেরা অর্জন। এবারে সেই কীর্তি স্পর্শ করতে চায় তারা।
“আমরা এর জন্য দুই বছরের বেশি সময় কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমরা প্রস্তুত। আমরা আমাদের সব ম্যাচ জিতেছি, সবাই খেলেছে এবং আমরা ১২টি গোল করেছি।”
“যদি আমরা ভালো খেলি, আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব। কিন্তু এখানে ভুলের কোনো সুযোগ নেই। যদি আমরা ব্রাজিলকে একটা সুযোগ দেই, তারা এটা গ্রহণ করবে। আমি মনে করি এটা টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ হবে।”
ব্রাজিল ও বেলজিয়ামের মধ্যে জয়ী দল সেন্ত পিতার্সবুর্গে আগামী মঙ্গলবার ফ্রান্স অথবা উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে।