বাবার জিম্মিদশা জেনে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নেমেছিলেন মিকেল

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচের চার ঘণ্টা আগে ভয়ঙ্কর এক দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন জন ওবি মিকেল। মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে তার বাবাকে। খবরটি নিজের মধ্যে রেখেই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। কর্তৃপক্ষকে বললে বাবাকে মেরে ফেলা হবে-এই হুমকির কারণে কাউকে কিছু বলতে পারেননি বলেও জানান নাইজেরিয়া অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2018, 02:03 PM
Updated : 3 July 2018, 03:02 PM

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ২-১ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় নাইজেরিয়া। ওই দিন ম্যাচের চার ঘণ্টা আগে অপহরণকারীদের কাছ থেকে ফোন পান মিকেল। ২৮ হাজার ডলার মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

গত ২৬ জুন নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকে এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে মিকেলের বাবা পা মাইকেল ওবি অপহৃত হন। প্রায় এক সপ্তাহ পর গত সোমবার ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর অপহরণকারীদের হাত থেকে মিকেলের বাবা ও তার গাড়িচালককে উদ্ধার করে নাইজেরিয়ার পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিকেলের পরিবার ইএসপিএনকে জানায় পা ওবিকে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তার শরীরে একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে।

বাবা উদ্ধার হওয়ার পর ইএসপিএনকে মিকেল জানান, অপহরণকারীদের ‍হুমকির কারণে নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন, কোচ কাউকেই কিছু বলতে পারেননি তিনি।

“আমি দ্বিধার মধ্যে ছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা জানতাম ১৮ কোটি নাইজেরিয়ানকে আমি হতাশ করতে পারি না।”

“অবশ্যই মাথা থেকে বিষয়টা ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলাম এবং খেলতে নেমেছিলাম। নাইজেরিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করাটা সবার আগে। আমাকে বলা হয়েছিল, যদি আমি কর্তৃপক্ষকে বা কাউকে অপহরণের বিষয়ে কিছু বলি তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে গুলি করা হবে।”

“এবং আমি চাইনি বিষয়টি নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করতে। কেননা, আমি চাইনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিনে আমার সমস্যা কোচ এবং দলের বাকিদের মনোযোগ নষ্ট করে দিক। বিষয়টি আমি কোচের সঙ্গে খুব করে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি।”

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণের শিকার হলেন ওবি মিকেলের বাবা। ২০১১ সালে তাকে প্রথম অপহরণ করা হয়েছিল। সেবার ১০ দিন পর মু্ক্তি পান তিনি।