সামারা অ্যারেনায় সোমবার রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেইমারের নৈপুণ্যে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর রর্বেত ফিরমিনোর ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলেও অবদান রাখেন নেইমার।
ম্যাচ জুড়ে বারবার ফাউলের শিকার হওয়া নেইমারকে রেফারির সহানুভূতি পেতে কিছুটা অভিনয় করতেও দেখা যায়। হারের পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এমন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে দৃষ্টিকটুভাবে গড়াগড়ি খেয়েছিলেন নেইমার। এ কারণে সমালোচিতও হয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফরোয়ার্ড।
মেক্সিকো খেলোয়াড়দের একাধিকার ফাউলের শিকার হওয়া নেইমার পরে টিভি গ্লোবোর সঙ্গে কথা বলার সময় সমালোচকদেরও একহাত নেন।
“তারা আমাকে মাড়িয়ে দিয়েছিল। এটা ঠিক ছিল না। আপনি এটা করতে পারেন না। তারা অনেক কথা বলেছিল, কিন্তু তারা এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।”
মেক্সিকো ম্যাচে ৭২তম মিনিটে ফাউলের শিকার হয়ে দুই পায়ের মধ্যে বল নিয়ে টেকনিক্যাল এরিয়ায় পড়ে ছিলেন নেইমার। তার কাছ থেকে বল নিতে এসে মেক্সিকোর মিডফিল্ডার মিগেল লাইয়ুন বুটের ডগা দিয়ে নেইমারের গোড়ালিতে হালকা মাড়িয়ে দেন।
এরপর নেইমার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন, মাঠে গড়াগড়ি দিতে থাকেন। যদিও টিভিতে দেখা যায়, লাইয়ুনের গোড়ালি মাটিতে ছিল এবং নেইমারের পায়ের ওপর তেমন জোরালো চাপও দেয়নি।
বিবিসির ধারাভাষ্যকার কনর ম্যাকনামারা ওই ঘটনা নিয়ে বলেন, “সে এমনভাবে গড়াগড়ি দিচ্ছিল যেন তাকে কুমির কামড়েছে; যেন সে একটা অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছে।”
অবশ্য রাশিয়ার আসরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি (২৩বার) ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। কিন্তু অভিনয় আর অযথা ডাইভ দেওয়ার কারণে তিনি উপহাসের পাত্র হয়ে যাচ্ছেন।
নেইমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ তিতেও।
“আমি ওসোরিওর কথার জবাব দিব না। আমি দেখেছি কি ঘটেছে। আমি একেবারে পাশেই ছিলাম এবং আমি এটা টিভিতে আবার দেখেছি। আমার কিছু বলার দরকার নেই। আপনাদের কেবল এটা দেখতে হবে।”