পরিসংখ্যানে কলম্বিয়া-ইংল্যান্ড লড়াই

বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে আগের পাঁচ দেখায় একবারও হারাতে পারেনি কলম্বিয়া। অন্যদিকে ২০০৬ সালের পর থেকে বড় কোনো প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বে জয় পায়নি ইংলিশরা। মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2018, 02:00 PM
Updated : 2 July 2018, 02:00 PM

# ইউরোপের কোনো দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ দুটি ম্যাচেই ৩-০ গোলের জিতেছিল কলম্বিয়া। চলতি আসরে পোল্যান্ডকে হারানোর আগে গত বিশ্বকাপে গ্রিসকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দলটি।

# ইংল্যান্ডের ২৩ জন খেলোয়াড়ই নিজের দেশের ক্লাবে খেলেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার মাত্র তিনজন খেলোয়াড় কলম্বিয়ান কোনো ক্লাবে খেলেন।

# ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে একুয়েডরকে ১-০ গোলে হারানোর পর থেকে আর কোনো বড় প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বে জয় পায়নি ইংল্যান্ড।

# বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ১৮ ম্যাচে ৪৫ জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়েছেন কলম্বিয়ার কোচ হোসে পেকারম্যান।

# কোচ হিসেবে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে এসেছেন পেকারম্যান। ২০০৬ সালে নিজের দেশ আর্জেন্টিনাকে এবং ২০১৪ সালে কলম্বিয়াকে নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে পা রাখেন অভিজ্ঞ এই কোচ। দুইবারই কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছায় তার দল।

# কলম্বিয়ার সর্বকালের সেরা গোলদাতা রাদামেল ফালকাও আন্তর্জাতিক ফুটবলে করেছেন ৩০ গোল। ৩২ বছর বয়সে এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলছেন তিনি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় নিজের প্রথম গোলের দেখাও পেয়েছেন মোনাকোর এই ফরোয়ার্ড।

# দুই দলের আগের পাঁচ দেখায় কোনো জয় নেই কলম্বিয়ার, তিন হারের সঙ্গে দুই ড্র। একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ২-০ গোলে জয় পায় ইংল্যান্ড। ২০০৫ সালে সবশেষ দেখায়ও ৩-২ গোলে জয় পেয়েছিল ইংলিশরা।

# বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৫৩ মিনিট খেলেছেন হ্যারি কেইন। এরই মধ্যে ইংলিশ অধিনায়ক করেছেন পাঁচ গোল। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু ১০ গোল করা গ্যারি লিনেকারের। কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল করতে পারলে ১৯৩৯ সালে টমি লটনের পর প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে গোল করার রেকর্ড করবেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফরোয়ার্ড।

# চলতি বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার পাঁচটি গোলের তিনটিই এসেছে সেট পিস থেকে (কর্নার থেকে দুটি আর সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে একটি)।

# বিশ্বকাপে নিজেদের ১৮টি নকআউট ম্যাচের মধ্যে একবারই কোনো গোল করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২০০৬ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে দুই দলই গোল করতে ব্যর্থ হলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। তাতে জিতে শেষ চারে পৌঁছায় পর্তুগাল।