ফিফার কাছে ‘ফেয়ার প্লের’ নিয়ম পুনর্বিবেচনার দাবি সেনেগালের

জাপানের চেয়ে বেশি হলুদ কার্ড পাওয়ার কারণে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ফিফার কাছে ফেয়ার প্লের নিয়ম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে সেনেগালের ফুটবল ফেডারেশন (এফএসএফ)।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2018, 08:26 AM
Updated : 2 July 2018, 08:26 AM

ফেয়ার প্লের নতুন এই নিয়মে প্রথম দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় তারা।

‘এইচ’ গ্রুপের খেলা শেষে সেনেগাল ও জাপানের পয়েন্ট, গোল এবং গোল পার্থক্য সবই সমান ছিল। ফেয়ার প্লের নতুন নিয়ম অনুযায়ী জাপানের (৪টি) চেয়ে দুটি বেশি হলুদ কার্ড পাওয়ায় রাশিয়ার আসর থেকে ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি। রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে জাপান।

গ্রুপের শেষ ম্যাচে ছিটকে যাওয়া পোল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হারে জাপান। ওই ম্যাচের শেষ দিকে জাপানের খেলোয়াড়রা গোলের জন্য মরিয়া হওয়ার চেয়ে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়ায় ব্যস্ত থাকায় সমর্থকরা দুয়ো দেয়। পোল্যান্ডও ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিল না, ছিটকে যাওয়ার আগে সান্ত্বনার পয়েন্ট নিয়ে খুশি ছিল তারা।

গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারে সেনেগাল। জাপান ও সেনেগালের মধ্যের ম্যাচটি ২-২ গোলে হওয়ায় এবং পয়েন্ট, গোল ও গোল পার্থক্য এক হওয়ায় ফিফার ফেয়ার প্লের নতুন নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দল দুটির ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডের হিসাব করা হয়। সেখানে পিছিয়ে পড়ে সেনেগাল।

“ভবিষ্যতে ফিফার উচিত যে দলটা ওভাবে খেলে তাদের শাস্তি দেওয়া”- বিবিসিকে বলেন এফএসএফের মুখপাত্র কারা তিওনে।

“ফিফা নতুন একটি পদ্ধতির প্রয়োগ করেছে কিন্তু ফেয়ার প্লের নিয়ম কি সব সমস্যার সমাধান করে? ওই ম্যাচের পর জাপান বা পোল্যান্ডের কারো কিছু হয়নি।”

“এ ধরনের আচরণের জন্য তাদের খেলোয়াড়দের, কোচদের কিংবা দলগুলোকে কিছু শাস্তি দেওয়া উচিত।”    

নতুন নিয়ম অনুযায়ী একটি হলুদ কার্ড পাওয়া মানে -১ পয়েন্ট। দুটি হলুদ কার্ডে লালকার্ড হলে -৩ পয়েন্ট এবং সরাসরি লালকার্ড হলে হবে -৪ পয়েন্ট।

সেনেগালের চেয়ে দুটি হলুদ কার্ড কম পাওয়ায় এই নিয়মে এগিয়ে ছিল জাপান। সেনেগালের ক্ষোভ, ফুটবলের মানের জন্য নয় অন্য কারণে তাদের বিদায় করে দেওয়া হলো।

বিবিসি জানায়, এফএসএফ পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ফিফাকে দুটি চিঠি দিয়েছিল।

“ফেডারেশন বিশ্বাস করে যে, যখন জাপান জানতে পেরেছিল কলম্বিয়া মাত্র এক গোলে সেনেগালের বিপক্ষে এগিয়ে গেছে, তখন তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সহজাত খেলাটা খেললে চায়নি, যেটা নীতি বিরুদ্ধ”, চিঠিতে বলা হয়। 

“জাপান কোচ বিষয়গুলো অস্বীকার না করায় ফেডারেশন (এফএসএফ) আরও বিস্মিত হয়েছে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাপান কোচের কথাও নিশ্চিত করেছিল, তিনি ১-০ স্কোরলাইন রেখে ফল নিজের পক্ষে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”