মেয়ের ‘ধর্মপিতার’ মুখোমুখি গ্রিজমান

দিয়েগো গদিন ও অঁতোয়ান গ্রিজমান কেবল ক্লাব সতীর্থ নন। দুজনের সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ যে ফরাসি ফরোয়ার্ড গ্রিজমানের ছোট মেয়ের ‘ধর্মপিতা’ উরুগুয়ের ডিফেন্ডার গদিন! এ কারণেই রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে অন্যরকম আবেগ অনুভব করছেন গ্রিজমান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2018, 04:18 PM
Updated : 1 July 2018, 04:21 PM

আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আসা ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে এক গোল করেন গ্রিজমান। শেষ ষোলোর ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে উরুগুয়ের ২-১ গোলের জয়ে উরুগুয়ের রক্ষণও দারুণভাবে সামলে রাখেন গদিন। আতলেতিকো মাদ্রিদের এই দুই সতীর্থ আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবেন সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে।

গ্রিজমানের আরেক ক্লাব সতীর্থ হোসে মারিয়া হিমেনেসও আছেন উরুগুয়ে দলে। রক্ষণে গদিন ও হিমেনেস দুজনের কড়া পাহারায় চলতি বছর সাত ম্যাচে মাত্র ১টি গোল হজম করেছে অস্কার তাবারেসের দল।

কোয়ার্টার-ফাইনালে অবশ্য বন্ধুত্বকে মাঠের বাইরে রেখেই নামবেন গ্রিজমান। কিন্তু বিষয়টি যে অনেক আবেগের সেটা ঘুরেফিরেই বলেছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।

“দিয়েগো দারুণ একজন বন্ধু। চেঞ্জিং রুম, মাঠের বাইরে-প্রতিদিন আমরা একসঙ্গে কাটাই এবং এ কারণে সে আমার ছোট মেয়ের ধর্মপিতা। তাই ম্যাচটা খুব আবেগের হবে এবং দারুণও হবে।”

“প্রথম আমি যখন আতলেতিকোয় যোগ দিলাম, তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে আমাকে ক্লাব নিয়ে ভালো বিষয়গুলো বলল এবং আমার মধ্যে আতলেতিকোয় আসার ইচ্ছাটা তৈরি করে দিয়েছিল।”

“উরুগুয়ে দেশটাকে আমি ভালোবাসি; মানুষদের ভালোবাসি। তাই এটা আমার জন্য খুব আবেগের ম্যাচ হবে কিন্তু আমি নিশ্চিত এটা দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

পর্তুগাল ম্যাচে চোট পাওয়া উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানির খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন গ্রিজমান।

“সে সেরা স্ট্রাইকার। কেননা, সে তার দলের জন্য কাজ করে; সতীর্থদের জন্য অনেক জায়গা তৈরি করে;  কখনও হার মানে না এবং একটা গোল করার জন্য তার মাত্র দুটি সুযোগ প্রয়োজন। যদি সে চোটের কারণে খেলতে না পারে, এটা হতাশার হবে কিন্তু আমি নিশ্চিত তার বদলি হিসেবে যে খেলবে সেও একই রকম কঠিন হবে।”  

“পর্তুগালের বিপক্ষে আমরা উরুগুয়ের খেলার যে কৌশল দেখেছি, ৪-৪-২ ফরমেশনের খুবই কঠিন ছক এবং তাদের ফরোয়ার্ডরা প্রতিআক্রমণের সময় রক্ষণে সহযোগিতা করে। তারা একসঙ্গে খেলে, সতীর্থদের জন্য নিজেদের সবটুকু দেয়…যেটা আমি আতলেতিকোতে দেখেছি এবং আমি এটা ভালোবাসি।”