সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে গত শনিবার রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এদিনসন কাভানির জোড়া গোলে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারায় উরুগুয়ে।
চোটের কারণে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি কাভানি। তবে পিএসজির এই ফরোয়ার্ডই দুই অর্ধে একটি করে গোল এনে দেন উরুগুয়েকে। মাঝে পেপে হেডে পর্তুগালকে সমতায় ফেরালেও শেষ রক্ষা হয়নি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় দলের মানসিকতা নিয়ে কথা বলেন তাবারেস।
“ম্যাচের স্বতন্ত্র দিক ছিল মাঠে ছেলেদের উৎসর্গ করে দেওয়াটা। … এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। পর্তুগাল পজেশনের দিক থেকে এগিয়ে ছিল এবং প্রায়ই আমাদের অংশে খেলা হয়েছিল। আমাদের পায়ে আরও বেশি বল থাকলে এবং তাদের গোলের কাছাকাছি খেলা হলে আরও ভালো হত।”
“আজ আমরা একটা ভুল করেছিলাম যেটা পর্তুগালকে সমতায় ফেরাল কিন্তু মানসিকতার দিক থেকে আমাদের একটি খুবই শক্তিশালী দল আছে।”
ম্যাচে পর্তুগালের বলের দখল ছিল ৬১ শতাংশ এবং উরুগুয়ের চেয়ে চারগুণ বেশি শট দলটি নিয়েছে। কিন্তু বল দখলে রাখার বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না তাবারেস। তার কাছে সুযোগ তৈরি এবং তা কাজে লাগানোই মূল কথা।
“আমি মনে করি, বল পজেশন নিয়ে একটা ভুল ধারণা আছে। মনে করা হয়, বল পজেশন গোল করার সুযোগ তৈরির দিকে নিয়ে যায়।”
“যখন ইতালিতে কাজ করতাম তখন আমি এটা শিখেছিলাম। বলের দখল রাখা ইতালিতে ততটা পবিত্র কাজ নয় যেটা অন্য জায়গায় ধরা হয়। এমনকি বলের দখল আপনার কাছে বেশি না থাকলেও আপনি প্রতিপক্ষকে যন্ত্রণা দিতে পারেন।”
চোটের কারণে ৭৪তম মিনিটে মাঠ ছাড়া কাভানিকে ফ্রান্সের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে পাওয়ার আশা করছেন তাবারেস।
“কাভানি আজ রাতে একটা চোট পেয়েছে। এ পর্যায়ে তার চোট কতটা মারাত্মক সেটা পরিষ্কার নয়, তাই আমাদের দেখতে হবে কিভাবে এটার উন্নতি হয়। কিন্তু বরাবরের মতোই বলছি, আমরা দলীয় শক্তির ওপর নির্ভর করব, যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটাই আমাদের সেরা সুযোগ। এবং আমরা জানি, ফ্রান্স প্রকৃতপক্ষে খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হবে।”
১৯৩০ ও ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে আগামী শুক্রবার নিজনি নভগোরোদে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে এসেছে ফরাসিরা।