৯৮ এর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য মদ্রিচের

বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে ১৯৯৮ সালে তৃতীয় হওয়াই এখন পর্যন্ত সেরা সাফল্য ক্রোয়েশিয়ার। রাশিয়ার আসরে দলকে সেই উচ্চতায় নিয়ে দুই দশক আগে থেকে দেখা নিজের স্বপ্নটাও পূরণ করতে চান অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2018, 08:42 AM
Updated : 30 June 2018, 10:29 AM

আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।

রাশিয়ায় গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়া ও মদ্রিচের সময়টা দারুণ গেছে। টানা তিন জয়ে ‘ডি’ গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে তারা। গ্রুপ পর্বে লিওনেল মেসিকে আড়াল করে রেখে মদ্রিচরা জিতেন ৩-০ গোলে। ক্রোয়েশিয়া দলের ১৯৯৮ সালের সাফল্য ছোঁয়ার স্বপ্নটা কয়েক বছর আগেই জানিয়েছিলেন রিয়ালের এই মিডফিল্ডার।

“এটা ক্রোয়েশিয়ার জন্য অনেক বড় একটা বিজ্ঞাপন ছিল। অবশেষে সারা বিশ্ব আমাদের জানতে পেরেছিল।”

“(তখন থেকে) একদিন ওই পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম আমি।”

শেষ ষোলোর ম্যাচে রোববার ডেনমার্কের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন মদ্রিচ। এ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াই ফেভারিট; তাদের মূল হুমকি হবে ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন।

গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সের কারণে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনা ম্যাচে দারুণ আলো ছড়িয়েছিলেন মদ্রিচ। মেসিদের উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে দূরপাল্লার শটে নজরকাড়া গোল করেন তিনি।

ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন মনে করেন, ব্যালন ডি’অর জয়ের যোগ্য মদ্রিচ।

“সে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা। মদ্রিচ এখন যতটা মনোযোগ পায়, সম্ভবত তার চেয়ে বেশি পেত যদি সে একজন জার্মান বা স্প্যানিশ খেলোয়াড় হত।”

ক্রোয়েশিয়ার কোনো খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জেতেনি। ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার ডেভর সুকের দ্বিতীয় হয়েছিলেন। সেবার সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল তারা।

পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শী এবং দ্রুত গতির ড্রিবলার মদ্রিচ সবার নজরে আসেন ২০০৮ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহ্যাম হাটস্পার্সে যোগ দেওয়ার সময়। ২০১২ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেও ছন্দ ধরে রেখেছেন। এরই মধ্যে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও তিনি জিতেছেন স্পেনের দলটির হয়ে।    

অন্য সব সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডারদের মতো মদ্রিচও প্রয়োজনের সময় দলকে রক্ষণে সাহায্য করেন। এই গুণের কারণে সমর্থক ও কোচদের কাছেও তিনি প্রিয়পাত্র।

“আমাদের চালিয়ে নেওয়ার ইঞ্জিন সে”, রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে মদ্রিচকে নিয়ে বলেছিলেন ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচ।

“সে একজন অধিনায়ক যে উদাহরণ দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেয়। সে সব সময় দলকে সর্বোচ্চটুকু দেয়; আচরণ, আগ্রাসন, মাঠে খেলার শক্তি-এসব দিয়ে সে উচুঁ মান নির্ধারণ করে দেয়।”

চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে মদ্রিচের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তবে রিয়াল মিডফিল্ডার ইতোমধ্যে অনেক বেশিই তৈরি হয়েছেন। এখন ছাপিয়ে যেতে চান ১৯৯৮ সালের গড়া কীর্তিকে। যে স্বপ্নটা বর্তমানে ৩২ বছর বয়সী মদ্রিচ দেখেছিলেন ছেলেবেলায়।