আগামী শনিবার সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল।
এ পর্যন্ত আতলেতিকো ও রিয়ালের মধ্যের ২৭টি মাদ্রিদ ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন গদিন-রোনালদো। উরুগুয়ের ডিফেন্ডারের সাফল্য একেবারে কম নয়। আটটিতে জয়, নয়টিতে ড্র এবং বাকি ১০টিতে হার। রোনালদোকে আটকে রাখার কৌশল তাই গদিনের চেয়ে বেশি খুব অল্প ডিফেন্ডারেরেই জানা আছে।
গদিন দেয়াল ভেঙে পাঁচবারের বর্ষসেরা রোনালদোরও সাফল্য পাওয়ার একাধিক ঘটনা আছে; আতলেতিকোর জালে দুটি হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব আছে তার। কিন্তু রোনালদোকে অনেক ম্যাচে নিস্ক্রিয় করে রেখেছেন গদিনও। গত ২০ দেখার মধ্যে ১৩ বারই রোনালদোকে জালের নাগাল পেতে দেননি তিনি।
মুখোমুখি লড়াইয়ে দুজনেরই অন্যরকম অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা আছে। স্প্যানিশ কাপের ম্যাচে রোনালদো একবার গদিনকে ঘুষি মেরেছিলেন। গত বছর রিয়াল ফরোয়ার্ডের মাথায় কনুই মেরে শোধও নিয়েছিলেন আতলেতিকো ডিফেন্ডার। ওমন ঘটনা ঘটিয়েও দুজনে লালকার্ডের হাত থেকে বেঁচে যান।
গত ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে শেষ ষোলোয় ওঠার নির্ধারণী ম্যাচে উরুগুয়ের ১-০ ব্যবধানের জয়ে একমাত্র গোলটি হেডে করেছিলেন গদিন। যদিও কলম্বিয়ার কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা।
উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেস জানিয়েছিলেন, চলতি বিশ্বকাপে মিশরের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিরতির সময় খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে ইতালির জালে লাফিয়ে উঠে করা গদিনের হেডের সেই ছবি ব্যবহার করেছিলেন। ফলও মিলেছিল। কর্নার থেকে হোসে হিমেনেস হেডে লক্ষ্যভেদ করে উরুগুয়ের জয় এনে দেন।
২০০৬ সাল থেকে উরুগুয়ের কোচের দায়িত্বে থাকা তাবারেস কখনও অধিনায়ক গদিনের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা আড়াল করেননি।
আতলেতিকো ডিফেন্ডারের মতো খুব কম খেলোয়াড়ই সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন। যেমনটা তার ক্লাব আতলেতিকোও ধনী প্রতিবেশী রিয়াল এবং তাদের বিশ্বমানের স্ট্রাইকার রোনালদোর বিপক্ষে নির্ভয়ে লড়াই করে।
উরুগুয়ে রোনালদোকে যদি বন্দী রাখতে পারে এবং ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বাড়ি পাঠাতে পারে, গদিন নিশ্চিতভাবে বলার মতো অনেক কিছু পাবেন।