কার্ডের খাঁড়ায় বাদ সেনেগাল, জিতে শেষ ষোলোতে কলম্বিয়া

কলম্বিয়া, জাপান আর সেনেগাল- তিন দলের সামনেই ছিল শীর্ষস্থানের হাতছানি। ছিল বাদ পড়ার শঙ্কাও। ইয়েরি মিনার গোলে লক্ষ্য পূরণ হল কলম্বিয়ার। গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোতে গেল দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। কার্ডের খাঁড়ায় বাদ পড়ে গেল সেনেগাল। তাদের চেয়ে ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড ভালো থাকায় রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে গেল জাপান। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2018, 03:55 PM
Updated : 28 June 2018, 06:52 PM

সামারায় ‘এইচ’ গ্রুপের খেলায় সেনেগালকে ১-০ গোলে হারায় কলম্বিয়া। একই সময়ে হওয়া গ্রুপের অন্য ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হারে জাপান।

জাপান আর সেনেগাল দুই দলই একই স্কোরলাইনে হারলে সমীকরণ ছিল এমন- ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড ভালো থাকা দলটি নক আউট পর্বে উঠবে। লাল কার্ড নেই কোনো দলেরই। জাপানের হলুদ কার্ড ৪টি, সেনেগালের ৬টি। তাই বাদ পড়ে গেল আফ্রিকার দলটি। 

হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা কলম্বিয়া ৬ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে শীর্ষে। সেনেগাল ও জাপানের পয়েন্ট সমান ৪। দুটি দলের গোল পার্থক্য শূন্য, গোল করেছে সমান ৪টি। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ ড্র হয় ২-২ ব্যবধানে। সব সমান থাকায় দেখা হয় ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড।

সেনেগালের বিদায়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল আফ্রিকার। এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে টিকে থাকল জাপান।

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকার চতুর্থ দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল কলম্বিয়া।

সামারা অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার শুরুতে দুই দল ছিল সতর্ক। প্রথমার্ধে গোলের ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তাদের কেউই। রাদামেল ফালকাও, হুয়ান কুয়াদরাদোদের গতি আগের ম্যাচে ভুগিয়েছিল পোল্যান্ডের রক্ষণকে। সেনেগালের সঙ্গে গতির লড়াইয়ে পেরে উঠেননি কলম্বিয়ার মিডফিল্ডার আর ফরোয়ার্ডরা।

সপ্তদশ মিনিটে কলম্বিয়ার বিপক্ষে স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। পরে সাদিও মানেকে কলম্বিয়ার দাভিনসন সানচেসের ট্যাকলের ভিডিও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।

৩১তম মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় কলম্বিয়া। মাঠ ছাড়েন গত আসরের গোল্ডেন বুট জয়ী হামেস রদ্রিগেস। তার জায়গায় মাঠে আসেন সেভিয়া ফরোয়ার্ড লুইস মুরিয়েল।

প্রথমার্ধে সাবধানী ফুটবল খেলা দুই দলই গতি বাড়ায় একটু। একই সময়ে হওয়া অন্য ম্যাচে জাপান পিছিয়ে পড়ার পর আবার নিরাপদ ফুটবলের দিকে ফিরে দুই দল। জাপান হারলে এই ম্যাচ ড্র হলে সেনেগাল আর কলম্বিয়াই উঠতে।

এরই মাঝে ৭৪তম মিনিটে মিনার গোলে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। হুয়ান কিনতেরোর কর্নারের বার্সেলোনার ডিফেন্ডারের হেড মাটিতে ড্রপ খেয়ে জালে যায়। এবারের আসরে এটি মিনার দ্বিতীয় গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পঞ্চম।

পিছিয়ে পড়ার পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সেনেগাল। দ্রুত সমতা আনার সুযোগও পেয়ে যায় তারা। তবে ৭৭তম মিনিটে এমবায়ে নিয়াংয়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়া গোলরক্ষক দাভিদ অসপিনা। পরে কর্নার থেকে ইসমাইলা সারের হেড দারুণ দক্ষতায় ফেরান তিনি।

চার মিনিট পর সমতা আনার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন সার। খুব কাছে থেকে ভলি লক্ষ্য রাখতে পারেননি অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ড।   

বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সেনেগাল। কপাল পুড়লো তাদের হলুদ কার্ডের খাঁড়ায়।

আগামী সোমবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ‘জি’ গ্রুপের সেরা দলের বিপক্ষে খেলবে জাপান। পরদিন ‘জি’ গ্রুপ রানার্সআপ দলের বিপক্ষে খেলবে কলম্বিয়া।

এইচ

 

ম্যাচ

জয়

ড্র

হার

পক্ষে গোল

বিপক্ষে গোল

গোল পার্থক্য

পয়েন্ট

 

কলম্বিয়া

 

জাপান

 

সেনেগাল

 

পোল্যান্ড

-৩