সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে 'ডি' গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শুরুর চতুর্দশ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি গোলে নাইজেরিয়াকে সমতায় ফেরান ভিক্টর মোজেজ। আর ৮৬ তম মিনিটে মার্কোস রোহোর দারুণ এক গোলে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। এর আগের দুই ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করায় এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারায় পরের রাউন্ডে যেতে ম্যাচটিতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না হোর্হে সাম্পাওলির দলের।
দলের শেষ ষোলোয় ওঠা প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন টেলিভিশন টিওয়াইসি স্পোর্টসকে মেসি বলেন, "পরের রাউন্ডে ওঠার পথটা ছিল চমৎকার। এর জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হয়েছে। প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়াটা আমাদের প্রাপ্য নয়। আমরা সবাই খুব খুশি। জানতাম, আমরা জিততে যাচ্ছি। তবে আশা করিনি, এটা এতটা কঠিন হবে।"
ম্যাচে একটা সময় আর্জেন্টিনাকে স্নায়ুচাপে পেয়ে বসেছিল বলে জানিয়েছেন মেসি। তবে দলের সবার নিজেদের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কারণেই এগিয়ে যাওয়াটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
"এটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ একটা ম্যাচ হয়েছে। প্রথমার্ধে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলাম, বল দখলে আমাদের আধিপত্য ছিল। প্রথম গোলের পর আমরা আরও সুযোগ তৈরির চেষ্টা করি। ভেবেছিলাম, দ্বিতীয়ার্ধও একই রকম হবে।"
"কিন্তু পেনাল্টি থেকে তারা গোল করতে সক্ষম হয়। আর ওই গোল সবকিছু কঠিন করে তোলে। কারণ তখন আমাদের স্নায়ুচাপে পেয়ে বসেছিল। মনে হচ্ছিল যেন সময় দ্রুত কাটছে।"
প্রত্যাশার চাপ ও সমর্থকদের সমালোচনার কারণে দুই বছর আগে হুট করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সেন্ত পিতার্সবুর্গে সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ৩১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
"অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এখানে আসায় এবং স্টেডিয়ামটাকে ভরপুর করে তোলার জন্যে সকল সমর্থককে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই।"