গ্রুপ ডি:
ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | পক্ষে গোল | বিপক্ষে গোল | গোল পার্থক্য | পয়েন্ট | |
ক্রোয়েশিয়া | ২ | ২ | ০ | ০ | ৫ | ০ | ৫ | ৬ |
নাইজেরিয়া | ২ | ১ | ০ | ১ | ২ | ২ | ০ | ৩ |
আইসল্যান্ড | ২ | ০ | ১ | ১ | ১ | ৩ | -২ | ১ |
আজেন্টিনা | ২ | ০ | ১ | ১ | ১ | ৪ | -৩ | ১ |
ম্যাচ: ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া
ক্রোয়েশিয়া: গোল পার্থক্যে অনেক এগিয়ে থাকায় আইসল্যান্ডের কাছে হারলেও আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ক্রোয়েশিয়ার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
নাইজেরিয়া: আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত নাইজেরিয়ার। ড্র করলেও চলবে যদি আইসল্যান্ড জিততে না পারে অথবা জিতলেও গোল ব্যবধান বা মোট গোলে এগিয়ে থাকতে না পারে।
উদাহরণ হিসেবে, ১. নাইজেরিয়া গোলশূন্য ড্র করলে আর আইসল্যান্ড ১-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকবে নাইজেরিয়া। ২. নাইজেরিয়া গোলশূন্য ড্র করলে আর আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান, গোল পার্থক্যও হবে সমান; কিন্তু বেশি গোল করার সুবাদে শেষ ষোলোতে উঠবে আইসল্যান্ড। ৩. নাইজেরিয়া ১-১ গোলে ড্র করলে আর আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান, গোল পার্থক্যও হবে সমান এমনকি গোল সংখ্যাও হবে সমান। তখন দেখা হবে দুই দলের মধ্যে ম্যাচের পয়েন্ট। ওই ম্যাচে নাইজেরিয়া জেতায় শেষ ষোলোতে উঠবে সুপার ঈগলরাই।
আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টিনার জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জিতলেও নির্ভর করতে হবে ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ম্যাচের ওপর। আইসল্যান্ড হারলে বা ড্র করলে আর্জেন্টিনা জিতলে উঠে যাবে শেষ ষোলোতে। দুই দলই সমান ব্যবধানে জিতলে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে শেষ ষোলোতে উঠবে আইসল্যান্ড। তাই আইসল্যান্ড জিতলে আর্জেন্টিনাকে এমন ব্যবধানে জিততে হবে যেন পয়েন্ট সমান হওয়ার পর গোল পার্থক্য বা মোট গোলে আইসল্যান্ডকে পেছনে ফেলা যায়।
উদাহরণ হিসেবে, ১. আইসল্যান্ড ১-০ গোলে ও আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হবে কিন্তু বেশি গোল করার সুবাদে এগিয়ে যাবে আর্জেন্টিনা। ২. আইসল্যান্ড ২-১ গোলে আর আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট, গোল পার্থক্য, মোট গোল সব হবে সমান। তখন দেখা হবে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচের ফল যেটাও সমান (১-১ গোলে ড্র)। তখন ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড যে দলের ভালো সেটি উঠবে শেষ ষোলোতে। ৩. আইসল্যান্ড ৩-২ গোলে আর আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট আর গোল পার্থক্য হবে সমান কিন্তু বেশি গোল করার সুবাদে নকআউট পর্বে যাবে আইসল্যান্ড। তাই আইসল্যান্ড জিতলে তাদের জয়ের ব্যবধানের চেয়ে কমপক্ষে ১ গোলের বেশি ব্যবধানে জিতলেই হবে না আর্জেন্টিনার, এগিয়ে থাকতে হবে মোট গোলেও।
আইসল্যান্ড জিতলে আর্জেন্টিনার জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম স্কোর:
আইসল্যান্ড ১-০ গোলে জিতলে আর্জেন্টিনার লাগবে ২-০ বা ৩-১ বা ৪-২… গোলে জয়।
আইসল্যান্ড ২-১ গোলে জিতলে, আর্জেন্টিনা ২-০ তে জিতলে দেখা হবে ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড, ৩-১ গোলে বা ৩-০ বা ৪-২… গোলে জিতলে যাবে শেষ ষোলোতে।
আইসল্যান্ড ৩-২ গোলে জিতলে, আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জিতলে দেখা হবে ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড, ৩-০ বা ৪-২… গোলে জিতলে যাবে শেষ ষোলোতে।
আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে, আর্জেন্টিনার লাগবে ৩-০ বা ৪-১…. গোলে।
আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ডের পরের ধাপে উঠতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এরপরও নকআউট পর্বে যাওয়া নির্ভর করবে অন্য ম্যাচের ফলের উপর। নাইজেরিয়া যদি জিতে তবে আইসল্যান্ড জিতলেও বাদ পড়বে। আর নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনা ম্যাচ ড্র হলে আইসল্যান্ডকে কমপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে এবং দেখতে হবে মোট গোল যেন নাইজেরিয়ার চেয়ে বেশি হয়।
উদাহরণ হিসেবে ১. নাইজেরিয়া গোলশূন্য ড্র করলে আর আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট আর গোল ব্যবধান হবে সমান, তবে মোট গোলে এগিয়ে থেকে এগিয়ে যাবে আইসল্যান্ড। ২. নাইজেরিয়া ১-১ গোলে ড্র করলে আর আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে দুই দলের পয়েন্ট, গোল পার্থক্য ও মোট গোলও হবে সমান। তখন দেখা হবে দুই দলের মধ্যে ম্যাচের পয়েন্ট যাতে এগিয়ে থাকায় নাইজেরিয়া হবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গী। তাই নাইজেরিয়া ড্র করলে শুধু ২ গোলের ব্যবধানে আইসল্যান্ডের জিতলেই হবে না, এগিয়ে থাকতে হবে মোট গোলেও। আর আর্জেন্টিনা জিতে গেলেও আইসল্যান্ডের সম্ভাবনা থাকবে যদি গোল পার্থক্য বা মোট গোলে মেসিরা তাদের চেয়ে এগিয়ে না যায়।