সেন্ত পিতার্সবুর্গে শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টা রিকাকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা অভিযান শুরু করে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে।
কোস্টা রিকার বিপক্ষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ফিলিপে কৌতিনিয়োর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর হাঁটু গেড়ে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখা যায় ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকাকে। পরে নিজের এই কান্নার ব্যাখ্যা দেন ২৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে নেইমার জানান, তার এই কান্না আনন্দ, সমস্যা কাটিয়ে ওঠা ও জয় পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার।
গত ফেব্রুয়ারিতে পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানের ম্যাচে পায়ের পাতার মেটাটারসাল হার ভেঙে তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান নেইমার। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়। ফাগনারও বিশ্বকাপে এসেছেন চোটের ধকল কাটিয়ে। তাই সতীর্থের বেদনাটা ভাল করেই বোঝেন ব্রাজিলের এই ফুলব্যাক।
“বিশ্বকাপ ক্যাম্পে আসার দুই সপ্তাহ আগে আমি একটা চোট পাই। ওইটার পর আমি নিশ্চিত ছিলাম না, আমি রাশিয়ায় আসতে পারব কি-না।”
দানিলোর চোটে কোস্টা রিকার বিপক্ষে খেলেন ফাগনার। মাঠে খুব কাছ থেকে দেখেছেন নেইমারের লড়াই।
“আমরা জানি, এখানে আসতে আমাদের কেমন কঠিন পথের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এটা পরিমাপ করাটা কঠিন।... নেইমার একটি গোল করেছে এবং আবারও সে বিশ্বকাপে আসতে পেরেছে।”
এখন পর্যন্ত নিজেদের দুই ম্যাচের দুটিতেই ম্যাচ সেরা হওয়া ও দুটি গোল করা ফিলিপে কৌতিনিয়োকে প্রশংসায় ভাসালেন ফাগনার।
“কৌতিনিয়ো অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। আমি জানি, সে দারুণ সব মুহূর্ত তৈরি করতে পারে। আমরা খুবই খুশি যে, সে খুবই ভালো একটা সময় পার করছে।"