সেন্ত পিতার্সবুর্গে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিলের প্রথম সুযোগটা পান নেইমার ২৭তম মিনিটে। ডি-বক্সে বল পেয়ে পিএসজির এই ফরোয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই এগিয়ে এসে বাধা দেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
৪১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেছিলেন মার্সেলো, তবে নাভাসকে ফাঁকি দিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অর্ধে আরও গুটিয়ে যায় কোস্টারিকা, আরও আক্রমণাত্মক খেলে ব্রাজিল। তাতে খুব ভালো সুযোগ এসেছিল পাঁচ মিনিটের মাথাতেই। ডান দিক থেকে ফাগনারের ক্রসে গাব্রিয়েল জেসুসের হেডে বল ক্রসবারে লাগলে গোল পায়নি ব্রাজিল। পরক্ষণেই কৌতিনিয়োর জোরালো শট গোলের মুখে থেকে ফেরে এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে।
৫৬তম মিনিটে নেইমারের খুব কাছ থেকে নেওয়া শটে গ্লাভস লাগিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান নাভাস। একটু পর কৌতিনিয়োর জোরালো শট কোনোমতে আয়ত্তে নেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এই গোলরক্ষক।
এরপর অভিনয় করে পেনাল্টি প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। রেফারি প্রথমে স্পটকিকের নির্দেশ দিয়েও পরে কোস্টা রিকার খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে ভিডিও রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান। তখন নেইমার শাস্তি থেকে বেঁচে গেলেও একটু পর মেজাজ হারিয়ে ঠিকই দেখেন হলুদ কার্ড।
অবশেষে যোগ করা সময়ে আসে গোল দুটি। প্রথম মিনিটে বাঁ পাস থেকে মার্সেলোর উঁচু করে বাড়ানো বল বদলি হিসেবে নামা ফিরমিনোর হেড করে দিয়েছিলেন গাব্রিয়েল জেসুসকে। ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড পা দিয়ে বল নামাতেই এগিয়ে এসে নিচু শটে নাভাসকে ফাঁকি দেন কৌতিনিয়ো।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার।
আর সপ্তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পান নেইমার। প্রতি আক্রমণে দগলাস কস্তার কাছ থেকে বল পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান অরক্ষিত থাকা পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচ শেষ হলে আবার ঢাকেন মুখ। তবে এবার হতাশায় নয়, ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর স্বস্তির গোল পাওয়ার কান্নায়।
গতবার তিন চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপ থেকে নক আউট পর্বে গিয়ে চমক দেখিয়েছিল কোস্টা রিকা। সার্বিয়ার কাছে হার দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করা দলটি এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল।
আগামী বুধবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। একই সময়ে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কোস্টা রিকা।