জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে রাশিয়ায় শুরুটা ভাল করতে পারেননি মেসি। গত শনিবার গ্রুপ পর্বে আইসল্যান্ডের সঙ্গে আর্জেন্টিনার ১-১ ড্রয়ে স্পটকিক থেকে জালে বল পাঠাতে পারেননি পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে সবকিছু জেতা মেসি জাতীয় দলের হয়ে এখনও শিরোপা জিততে পারেননি। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হারের পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার দুই ফাইনালে চিলির কাছে হারে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপ শিরোপা তাই মেসির সবচেয়ে বড় চাওয়া বলে একটি টিভি শোতে জানালেন তার মা।
“তার লক্ষ্য দেশে কাপ নিয়ে আসা, বিশ্বকাপ জেতা। এটা তার বড় আকাঙ্ক্ষাগুলোর একটা। এর জন্য আমরা কখনও কখনও তাকে কষ্ট পেতে দেখি, কাঁদতে দেখি।”
বিশ্বকাপ জিততে মেসি মরিয়া হয়ে আছে বলে জানান কুচতিনি। রাশিয়ায় শিরোপাটাকে নিজের করে নিতে মেসি তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত বলে বিশ্বাস তার।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মেসি ও তার সতীর্থদের সম্পর্কটা তেমন স্বাভাবিক নয়। প্রায়ই অন্যায্যভাবে সমালোচনা করা হয় তাদের।
চাপের কারণে ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে আর্জেন্টিনার হারের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। পরে অবশ্য অবসর ভেঙে ফিরে আসেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড।
ছেলের সমালোচনায় কষ্ট পান মাও।
“লিওকে নিয়ে যেসব সমালোচনা হয় তাতে আমরাও কষ্ট পাই। যখন মানুষ বলে, জাতীয় দলটাকে সে অনুভব করে না বা দায়বদ্ধতা থেকে সে জাতীয় দলের হয়ে খেলে, তখন একজন মা হিসেবে ও একটা পরিবার হিসেবে আমরা কষ্ট পাই। সৌভাগ্যবশত মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসে।…মেসিও এটাকে অনেক মূল্যায়ন করে। একজন মা হিসেবে আমিও করি।”
মায়ের কাছে মেসি কেবল মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও অসাধারণ।
“লিও দারুণ ছেলে, সুন্দর একটা ভাই, ভালো একজন বাবা ও দুর্দান্ত একজন স্বামী। আমি আমার চার সন্তানকেই ভালোবাসি। তবে তার বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আমি যে কোনো কিছুই দিব।”
বৃহস্পতিবার নিজনি নভগোরোদে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে লড়বে আর্জেন্টিনা।