মস্কোয় ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে এগিয়ে গেল ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
দুই দলের একমাত্র দেখায় ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ৩-১ গোলে জিতেছিল মরক্কো। বিশ্বকাপে আফ্রিকার কোনো দলের কাছে নিজেদের একমাত্র হারের প্রতিশোধ নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করে দিল পর্তুগাল।
লুজনিকি স্টেডিয়ামে বুধবার ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে জোয়াও মৌতিনিয়োর ক্রসে একটু নিচু হয়ে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রোনালদো।
এবারের আসরে এটি পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের চতুর্থ গোল। রাশিয়ার দেনিস চেরিশেভকে (৩) পেছনে ফেলে এককভাবে উঠে এলেন এবারের আসরের গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে।
পর্তুগালের হয়ে ৮৫তম গোল পেলেন রোনালদো। হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাসকে (৮৪) পেছনে ফেলে এখন এককভাবে তিনি ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব মিলিয়ে রোনালদোর সামনে আছেন কেবল ১০৯টি গোল করা ইরানের আলি দাই।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দ্রুততম দুটি গোলই রোনালদোর। স্পেনের বিপক্ষে গোল করেছিলেন ৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে, মরক্কোর বিপক্ষে করলেন ৩ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে।
৪০তম মিনিটে রোনালদোর উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়েছিলেন গনসালো গেদেস। এগিয়ে এসে এক হাতে ভালেন্সিয়ার এই ফরোয়ার্ডের চেষ্টা রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মরক্কোও, ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি হারলেই বিদায় জেনে খেলতে নামা আফ্রিকার দেশটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন রোনালদো। অরক্ষিত রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে বুলেট গতির শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের আক্রমণে অনেক এগিয়ে থাকা মরক্কো ৫৭তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল। ফ্রি-কিক থেকে মিডফিল্ডার ইউনেস বেলহান্দার হেড ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও। চার মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেহদি বেনাতিয়ার ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করা মরক্কো অধিনায়ক বেনাতিয়া যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডি-বক্স থেকে ক্রসবারের উপর দিয়ে শট নেন।
আগামী সোমবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল। একই সময়ে স্পেনের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে মরক্কো।